বাজেটে করোনায় বিশেষ প্রণোদনা চায় ডিসিসিআই

, অর্থনীতি

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 07:28:25

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দেশ ও বিশ্বজুড়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে আসছে বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা রাখার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)।

বুধবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এই প্রস্তাবের কথা জানান ডিসিসিআইয়ের সভাপতি শামস মাহমুদ।

এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এই প্রস্তাবনার পাশাপাশি লিখিত একগুচ্ছ প্রস্তাব তুলে ধরেন এনবিআরের সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেনের কাছে।এসময় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে যাতে সরকার, সাধারণ জনগণ এবং বেসরকারিখাত এই অবস্থা উত্তরণে সহায়ক নীতিমালা ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সুফল পেতে পারে।

২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য লিখিত প্রস্তাবে ডিসিসিআই রফতানিমুখী শিল্পে উৎপাদন বাড়াতে ও রফতানি বহুমুখীকরণকে উৎসাহিত করতে শিল্পপণ্য উৎপাদনে সবধরনের কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ওপর অগ্রিম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে। এছাড়া তৈরি পোশাক খাতের ডিজাইন এবং ডামি সেন্টার, স্যাম্পল, ইটিপি, জ্বালানি দক্ষতা এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট অব্যাহতিরও প্রস্তাব করা হয়।

ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ প্রগেসিভ হারে সকল স্তর থেকে করপোরেট কর হার আগামী ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে ৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ হারে কমানো, করপোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের ওপর ২০শতাংশ এর পরিবর্তে ১০শতাংশ কর নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন।

তিনি মনে করেন, করপোরেট ট্যাক্স কমিয়ে পুনঃবিনিয়োগ করা হলে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ কর আহরণের নতুন উৎস সৃষ্টি হবে।

এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার কর মুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা এবং ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর সর্বনিম্ন হার ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ এ কমানোর প্রস্তাব করেন, ডিসিসিআই মনে করে বর্তমান মূদ্রাস্ফীতির হার ও বর্ধনশীল জীবনযাপনের ব্যয় বিবেচনায় রেখে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি কর প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও করের আওতা বৃদ্ধির জন্য সম্পূর্ণ অটোমেটেড অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করেন, যার ফলে দেশের কর প্রদান ব্যবস্থা সহজ হবে এবং ব্যবসার পরিবেশ সূচক উন্নয়নে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। ডিসিসিআইর সভাপতি, ১৫শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করলে কর রেয়াত নেওয়ার সুযোগ প্রদানের পরিবর্তে ৫শতাংশ, ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ অথবা যে কোন হারে ভ্যাট প্রদান করলে কর রেয়াতের সুযোগ প্রদানেরও প্রস্তাব করেন।

এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বার্ষিক টার্নওভারের লিমিট তিন কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে চার কোটি টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করে সংগঠটি। পণ্যের ভ্যালু এডিশন বা মুনাফা অনুপাতে ৪শতাংশ ভ্যাট আরোপেরও প্রস্তাব করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর