দিন যতই যাচ্ছে দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর তাতে পরিবহন, পর্যটন এবং রফতানি খাতে ক্ষতির পরিমাণ ততই বাড়ছে।তবে অন্যসব খাতের চেয়ে রফতানি খাতের তৈরি পোশাক শিল্প সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশের পোশাক খাতে ৯২০ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। যার বাজারমূল্য ২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
মঙ্গলবার (৩১মার্চ) বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ড.রুবানা হক।
তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালিসহ অধিকাংশ দেশ ১০৫৯ টি কারখানার ৯২০ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার ইউএস ডলার। এসব কারখানাগুলোতে ২ লাখ ১০ হাজার শ্রমিক রয়েছেন।
তাও আবার বিজিএমইএর তালিকাভুক্ত ৪ হাজার ২০০ কারখানার মধ্যে। ক্ষতির বাস্তব চিত্র আরও বেশি।
এছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে গত ১৪ মাসে (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১০৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছরের ১৮ মার্চ তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৪১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ১৯ মার্চ কমেছে ১২ দশমিক ২ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ২০ মার্চ রফতানি কমেছে ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
০৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমইএ সহ রফতানিমুখী খাতের অধিকাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে। তাতে এই শিল্পের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।