দিন যতই যাচ্ছে দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে দিনমজুর থেকে শুরু করে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি সবারই বেঁচে থাকার ঝুঁকি বাড়ছে। একই সঙ্গে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ ক্ষতির তালিকা রয়েছে দেশের পরিবহন, পর্যটন এবং রফতানি খাত। তবে এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে রফতানি খাতের তৈরি পোশাক শিল্প।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, বাংলাদেশ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে পোশাক খাতে ৯৫২ দশমিক ১৪ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ড.রুবানা হক।
তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালিসহ অধিকাংশ দেশ ১১১৫টি কারখানার ৯৫২ দশমিক ১৪ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত করেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এসব কারখানাগুলোতে ২ লাখ ১৯ হাজার শ্রমিক রয়েছেন।
তাও আবার বিজিএমইএর তালিকাভুক্ত ৪২০০ কারখানার মধ্যে। ক্ষতির বাস্তবচিত্র আরও অনেক বেশি।
এদিকে গত ২৭ মার্চ থেকে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমইএ কারখানাগুলোর অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে। তাতে বায়ারদের অর্ডার আসলেও কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
অন্যদিকে আর্থিক সংকটের কারণে গত ১৪ মাসে (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১০৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছরের ১৮ মার্চ তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৪১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ১৯ মার্চ কমেছে ১২ দশমিক ২ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ২০ মার্চ রফতানি কমেছে ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।