ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাবিশ্বের সঙ্গে দেশের আকাশপথের পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে বিঘ্নিত।
এ অবস্থাতেও ইউএস-বাংলার একটি মাত্র ফ্লাইট সপ্তাহের প্রতি শনিবার ঢাকা-গুয়াংজু রুটে পরিচালনা করছে। তবে করোনা দুর্যোগে দেশের আমদানি ও রফতানি সচল রাখার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরকারের কাছে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অনুমতি চায়। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ইউএস-বাংলাকে এরইমধ্যে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সপ্তাহ থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রী পরিবহন ছাড়াও কার্গো পরিবহন শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ইউএস-বাংলার চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে আপদকালীন বিভিন্ন দেশ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে মহামারি করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যসেবাকে সচল রাখার জন্য চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্কসহ নানাবিধ পণ্য আমদানি করা হবে। এছাড়া জরুরি রফতানি পণ্যসামগ্রী বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য, পচনশীল দ্রব্য শাক-সবজি ইত্যাদি বিদেশে রফতানিতে ভূমিকা রাখতে পারবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
দেশের আমদানি-রফতানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ইউএস-বাংলা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবে। প্রতিটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটে কার্গো কম্পাইন্ডে প্রায় ২০ টন কার্গো পরিবহন করতে পারবে। বাংলাদেশের সঙ্গে কার্গো পরিবহনে যেসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সেসব দেশে কার্গো পরিবহন করতে পারবে।
প্রাথমিকভাবে এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, চীন, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্গো পরিবহনের পরিকল্পনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
বর্তমান অবস্থায় রফতানিকারক ও আমদানিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দুর্যোগকালীন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।