প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত লকডাউন এলাকায়ও ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর ফলে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন অথবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে লকডাউন ঘোষিত এলাকাতেও সীমিত আকারে ব্যাংকিং চালু রাখতে হবে। ট্রেজারি কার্যক্রম, সরকারি ভাতা ও অনুদান বিতরণ এবং জনসাধারণের অতি জরুরি আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শনিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রোববার (১২ এপ্রিল) সরকারি ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী, বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এই নিয়ম ফলো করছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ট্রেজারি কার্যক্রম, সরকারি ভাতা ও অনুদান বিতরণ এবং জনসাধারণের অতি জরুরি আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরকার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন অথবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে লকডাউন ঘোষিত এলাকাতেও সীমিত আকারে ব্যাংকিং চালু রাখতে হবে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একই বিভাগ থেকে লকডাউন ঘোষিত এলাকায় ব্যাংক এর শাখাসমূহ বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। জনসাধারণের আর্থিক দিক বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত লকডাউন ঘোষিত এলাকায় ব্যাংকের সকল শাখায় আগামী ১২ এপ্রিল থেকে দৈনিক ব্যাকিং লেনদেনের সময়সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শাখাগুলোতে সরকারি চালান গ্রহণ, পে অর্ডার ইস্যু, জরুরি বৈদেশিক লেনদেন, টাকা জমা, উত্তোলন এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা ও অনুদান বিতরণ কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। এক্ষেত্রে সকল শাখায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত শাখাগুলোতে ব্যাংকের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাহনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।