বাংলাদেশের জিডিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, কেননা এখনই এটা বলার সময় আসেনি। বিশেষ করে অঙ্ক ধরে বলার উপযুক্ত সময় এটা নয়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বের মতো আমাদের জিডিপিও কমবে। তবে আমাদের এতোটা কমবে না। কমপক্ষে ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি এ বছরও আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
রোববার (১২ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার (জিডিপি) নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ২ থেকে ৩ শতাংশ। তার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (১৩ এপ্রিল) তিনি এসব কথা বলেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের সামনে তো ৮ মাসের তথ্য রয়েছেই। সেগুলো যাচাই করে কিছুদিন আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসকে আমি সময় উপযোগী বা পরিপক্ক কোনোটাই মনে করি না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কেননা বাংলাদেশে করোনার প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের অর্থ-বছরের ৮ মাস অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। বাকি আছে মার্চ-জুন এই চার মাস। এ সময়ে যদি আমাদের শূন্য কিংবা নেগেটিভ গ্রোথও হয় তারপরও আগের ৮ মাসে আমরা যা অর্জন করেছি সেটা ৬ শতাংশের বেশিই হবে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির চেয়ে আমাদের এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন রক্ষা করা। তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, খাবারের যোগান দেওয়াসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের মৌলিক কাজ। আমাদের প্রবৃদ্ধির প্রধান তিনটি খাত হলো কৃষি, শিল্প ও সেবা। আমাদের কৃষিখাতে করোনাভাইরাসের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এটা যদি দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে কৃষিখাতে আমরা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবো। আর শিল্প খাতে কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এটা কাটানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। একইভাবে সেবাখাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ছে। আমরা স্বীকার করছি প্রবৃদ্ধি কমবে, কিন্তু এতোটা কমবে না।