ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া বিলের সুদ মওকুফ

ব্যাংক বীমা, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 02:30:34

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ক্রেডিট কার্ডের বিল বকেয়া পড়লে তার ওপর কোন ধরনের সুদ আরোপ করা যাবে না।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) এমন নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনা ৩১ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সার্কুলারে বলা হয়, কোন কোন ব্যাংক অপরিশোধিত ক্রেডিট কার্ডের বিলের ওপর মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপ করছে। এর ফলে গ্রাহককে অতিরিক্ত দান দিতে হচ্ছে, যা সংকটময় পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই কাম্য নয়। ১৫ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের বিলের ওপর দৈনিক বা মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। ১৫ মার্চের পর যদি কোন ব্যাংক সুদ আরোপ করে থাকে তাহলে তা ফেরত দেওয়ার বা সমন্বয় করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনা চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সাধারণত ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কোনো কেনাকাটা করার ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনা সুদে বিল পরিশোধের সুযোগ থাকে। কিন্তু ৪৫ দিন পার হয়ে গেলে বিলের ওপর কেনাকাটার প্রথম দিন থেকেই উচ্চহারে সুদারোপ করে ব্যাংক। এই সুদ হার চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। ব্যাংক ভেদে সুদের হার সর্বনিম্ন ১৪ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জরিমানা মওকুফ করলেও সুদ আরোপের সুযোগ নেয় ব্যাংকগুলো। বিল দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ব্যাংক খোলা না থাকা এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা সীমিত থাকায় গ্রাহকরা বিল দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। গ্রাহকদের এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে উচ্চ সুদ আরোপের সুযোগ পায় ব্যাংকগুলো।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দিতে দেরি হলে তার জন্য জরিমানা, দণ্ড, দণ্ড সুদ অতিরিক্ত চার্জ বা ফি যে নামেই হোক তা নেওয়া যাবে না। যদি কোন ব্যাংক নিয়ে থাকে তাহলে তা ফেরত দিতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর