উৎপাদন ও রফতানিমুখী পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য ২০ কোটি ইউরোর (২০০ মিলিয়ন ) নতুন গ্রিন ট্র্যান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ তহবিলের অর্থ ব্যবহার করে সহজে কম সুদে উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম আমদানি করতে পারবে।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট’এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগের জন্য গঠিত এই ফান্ড থেকে নেওয়া ঋণের সুদহার হবে দি ইউরো ইন্টার ব্যাংক অফার রেট (ইউরিবোর)+ ১ শতাংশ। যদি ইউরিবোর ঋণাত্ত্বক হয় তাহলে ১ শতাংশ হারে সুদ কাটবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহক পর্যায় থেকে এর চেয়ে সর্বোচ্চ ২ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না কোনো ব্যাংক।
কারখানা সবুজায়ন তথা পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তুলতে ২০১৬ সালে ২০ কোটি ডলারের একটি পুনঃঅর্থায়ন যোগ্য একটি তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তহবিলটির নাম দেওয়া হয় ‘গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড’ (জিটিএফ)।
প্রথমে ওই তহবিলের সুবিধা নিতে পারতো রফতানিমুখী বস্ত্র, পাট ও চামড়া খাতের কোম্পানিগুলো। পরে উৎপাদন ও রফতানিমুখী যে কোনো কারখানা সবুজায়ন বা পরিবেশবান্ধব গড়ে তুলতে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সামগ্রী আমদানিতে এ তহবিল থেকে ঋণ সহায়তা পাচ্ছে যে কোনো খাতের প্রতিষ্ঠান।
অনুমোদিত ডিলারদের (এডি) মাধ্যমে উৎপাদন ও রফতানিমুখী যে কোনো প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তুলতে এ ফান্ড থেকে অর্থ সহায়তা পায়। ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদি এ ঋণ সহায়তায় ১ বছর গ্রেস পিরিয়ড সুবিধা পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট এডি ৬ মাসের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে ঋণ নিয়ে নিজস্ব খরচ মিলিয়ে প্রার্থিত ঋণ গ্রহীতার কাছে অর্থ বিতরণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে এডির নিজস্ব খরচ ১ থেকে ২ দশমিক ৫০ শতাংশের বেশি হবে না। প্রতি ছয়মাস পর বাজার বিবেচনা করে এ হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জিটিএফ থেকে ঋণ বিতরণে তেমন আগ্রহ নেই ব্যাংকগুলোর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, এই ফান্ড থেকে চামড়া ও টেক্সটাইল শিল্পে ঋণ বিতরণের জন্য ১৯টি ব্যাংক চুক্তি করেছে। অথচ পানি সংরক্ষণ পরিচালনা ও পরিশোধন, সম্পদ সংরক্ষণ এবং পুনর্ব্যবহার, শক্তির পুনর্ব্যবহার, তাপ এবং তাপমাত্রা পরিচালন, বায়ু চলাচল ও কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ৫ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে পারে ব্যাংকগুলো।