তৈরি পোশাক খাতের ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫শ’ শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। সংগঠনটির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী এখনো মার্চ মাসের বেতন পাননি ৮২ হাজার ৯১৭ জন পোশাক শ্রমিক।
২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫শ’ শ্রমিকের বেতন পাওয়ার তথ্য সোমবার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)।
তারা জানায়, বর্তমানে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানায় কর্মরত ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৪১৭ শ্রমিকের মধ্যে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ শ্রমিক।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বিজিএমইএর সদস্য দুই হাজার ২৭৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ হাজার ১৫৩টি প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে, যা মোট কারখানার ৯৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এছাড়া বাকিদের বেতন পরিশোধ প্রক্রিয়াধীন।
বিজিএমইএ’র হিসাব অনুযায়ী এখনো ১২১টি কারখানার শ্রমিকরা বেতন-ভাতা পাননি, যা শতাংশের হিসেবে ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, বেশির ভাগ বড় বড় প্রতিষ্ঠান মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। যারা বেতন দেননি তাদের অধিকাংশ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।
আর্থিক সমস্যা, ব্যাংকিং জটিলতা ও চলমান পরিস্থিতিতে যাতায়াতের অসুবিধার কারণে বেতন পরিশোধ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে ২০ থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে শতভাগ শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন পাবেন বলেন তিনি আশ্বাস দেন।
শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করা গার্মেন্টস মালিকদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। সংগঠনটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
গত ১৩ এপ্রিল এক বিবৃতিতে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শ্রমিকদের মার্চের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।