বাংলাদেশে বর্তমানে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন ১৫টি চিনিকলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি চিনি মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি দেশে এখন লবণেরও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ভোক্তা সাধারণের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য পণ্য নিশ্চিতকরণ, শিল্পখাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ যথাযথ বাস্তবায়ন ও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে কার্যকর কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক সভায় এ তথ্য জানায় বিসিক।
শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি), বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) ও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের আওতাধীন ১৫টি চিনিকলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি চিনি মজুদ রয়েছে। এছাড়া বিসিআইসির আওতাধীন সার কারখানা ও গোডাউনসমূহে বর্তমানে মোট ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। গত বছর একই সময়ে ইউরিয়া সারের মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৯ টন। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ইউরিয়া সারের মোট চাহিদা ২৫ লাখ ৫০ হাজার টন। ইতিমধ্যে প্রায় ২২ লাখ ৬৯ হাজার ৭১১ মে. টন সার কৃষকদের নিকট সরবরাহ করা হয়েছে।
দেশে এখন লবণেরও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। করোনার প্রকোপের মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে লবণ মাঠ এবং লবণ মিলগুলোতে উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। চলতি লবণ মৌসুমের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার লবণ চাষী ১২ লাখ ৮৩ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করেছে, যা গত মৌসুমের এই সময়ের চেয়ে ৭০ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
এ বছর লবণের মোট চাহিদা ছিল ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় চাহিদা মিটিয়ে লবণ মাঠে উৎপাদন, লবণ মিলসহ লবণসহ সকল উৎস মিলে বর্তমানে দেশে ১১ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে।
এছাড়াও দেশের সকল জেলার ডিলার, পাইকারি ও খুরচা বিক্রেতা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য মজুদ রয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে মজুদকৃত লবণ দিয়ে আগামী ১০ মাস পর্যন্ত অনায়াসে দেশের লবণের চাহিদা পূরণ করা যাবে।