করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হলে যেসব শর্ত ও করণীয় মেনে মার্কেট খুলবে ব্যবসায়ীরা তার একটি নির্দেশিকা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি।
সোমবার (৩ মে) ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তৌফিক এহেসান এক বিবৃতিতে এ নির্দেশিকা তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বেশকিছু শর্তসমূহ পালন ও করণীয় পদক্ষেপসমূহ অনুসরণ করা হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটগুলোর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।
শর্তসমূহ ও করণীয় পদক্ষেপ সমূহ:
> দোকান/অফিসে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা।
> পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
> ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস এর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
> ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং প্রবেশ পথে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত ভেজানো ফোম/পাপোস রাখা।
> ক্রেতাদের দোকানে প্রবেশ, অবস্থানকালীন ও পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা।
> দোকানে প্রবেশকালে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।
> প্রবেশ পথে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা।
> ক্রেতাদের ভিড় পরিহার করার লক্ষ্যে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী বা লোক দিয়ে ব্যবস্থাপনা জোরদার করা।
> ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা অবস্থায় বিক্রয়কর্মী/কর্মচারীদের দুই ভাগে ভাগ করে শিফটে করে ব্যবসা পরিচালনা করা। বড় দোকানে তিন জন কর্মী, মাঝারি দোকানে দুজন কর্মী, ছোট দোকানে একজন কর্মী দ্বারা ব্যবসা পরিচালনা করা।
> প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা করা।
> জ্বর সর্দি কাশি এমন উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মার্কেটে প্রবেশ করতে না দেওয়া।
> প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে কর্মে যোগদান করা।
> কর্মচারী ও ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলা।