পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর কমানো এবং কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের উপর থেকে আয় কমানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
আসছে (২০২০-২১ অর্থ বছরের) এই দুই প্রস্তাবসহ মোট ১১টি প্রস্তাব মঙ্গলবার (১২ মে) সরকারের অর্থমন্ত্রীকে দিয়েছে ডিএসই। একই প্রস্তাবনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছেও দিয়েছে ডিএসই।
এগুলো মধ্যে রয়েছে, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের দুই লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখা, বর্তমানে লভ্যাংশ আয় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা রয়েছে। ডিএসই এ সুবিধাকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করতে বলেছে। এ সুবিধা দিলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের প্রতি আকৃষ্ট এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হবে এমনটাই দাবি ডিএসইর।
এ সুবিধা দেয়ার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটি আরও যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে, মহামারি করোনার কারণে পুঁজিবাজার মারাত্মক তারল্য সংকটে ভুগছে। প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট কমবে।
বাকিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ১০ বছরের জন্য পূর্ণ কর অব্যহতি দেয়া। অর্থাৎ ২০২৩-২৪ পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জকে শতভাগ করমুক্ত সুবিধা দিতে হবে।
স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে অগ্রিম কর হার (এআইটি) ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ করা।
এসএমই প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে এআইটি না নেয়া।
ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করা এবং দুই বছর তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ কর সুবিধা দেয়া।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা। এছাড়া তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (মার্চেন্ট ব্যাংক ছাড়া) কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩২.৫০ শতাংশ করা।
নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রথম তিন বছর কর হার সুবিধা ১০ শতাংশ থেকে বাড়ানো ও নতুন বন্ডের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে প্রথম তিন বছর ১০ শতাংশ হারে কর সুবিধা দেয়া।