রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিএস) গড়ে তুলবে রাশিয়ার কোম্পানি জেএসসি এলরন। এই সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণে ব্যয় হবে দুই হাজার ৪শ’ কোটি টাকা।
শুক্রবার (২৯ মে) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি রাশিয়ার কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও রূপপুর প্রকল্পের পারমাণবিক নিরাপত্তা ও ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা সেলের (এনএসপিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে পিপিএস নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, এনএসপির প্রধান সমন্বয়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আখতার শহীদ, রসাটমের মহাপরিচালক কনস্টানটিন দেনিসভ, এলরনের মহাপরিচালক অ্যান্দ্রে মুরাভিয়েভ প্রমুখ অংশ নেন।
২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) তিন হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিএস নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পিপিএস প্রকল্পটি রূপপুর পারমাণিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক হুমকি মোকাবিলা করবে। নিরাপদ ও সুরক্ষিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি তেজস্ক্রিয় পদার্থের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, সাইবার নিরাপত্তা এবং সংবেদনশীল তথ্য ব্যবস্থাপনা এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দুই দেশের সরকারের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার কোম্পানি এলরন এ নিরাপত্তা প্রকল্প নির্মাণের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে। এই বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে সহযোগিতা করছে রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রাশিয়ান স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটম)। চুক্তি অনুসারে রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টকে রূপপুর প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশ, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ভারত রূপপুর পারমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ, পরিচালনা, লোকবল প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা বিষয়ে পরামর্শ ও কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারবে। দেশের সব থেকে বড় এ প্র্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এর ৯০ শতাংশ অর্থ রাশিয়ার কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নিচ্ছে।