এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত হওয়া বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে ফলাফল কীভাবে প্রকাশিত হবে সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এতথ্য জানান।
এর আগে, এদিন সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের অনেকের পরনে কলেজের ইউনিফর্ম দেখা যায়।
এরইমধ্যে খবর আসে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপাতিত্বে এক সভায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। আর পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ২ সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে।
তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অটল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে তাদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান। অন্যরা তখনও বাইরে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। যার প্রেক্ষিতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ১৬ জুলাই রাতেই সারা দেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ১ অগাস্ট পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৪ অগাস্ট থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষাগুলোও স্থগিত হয়ে যায়।
বার বার স্থগিতের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সরকার পতনের পর সহিংসতায় বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র পুড়ে গেলে পরীক্ষা ফের স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।