বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক প্রকাশিত বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার ও ৩৫ এর বেশী বয়সীদের সুযোগ না দেয়া সহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নিয়োগ প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বটতলা এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
তাদের দাবি সমূহ হচ্ছে-
১। ১৮তমদের চূড়ান্ত রেজাল্টের আগে কোন বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে না।
২। ১৮তম পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করে অক্টোবরের মধ্যে ভাইভা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে।
৩। শিক্ষক সংকট দূরীকরণে ১৮তমদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৪। পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
৫। ৬০ হাজার জাল সনদধারীদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
৬। ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮তমদের নিয়ে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
৭। অটো এমপিও চালু করতে হবে।
৮। প্রথম থেকে ১২তম ক্ষেত্রে আদালতের রায় বহাল রাখতে হবে।
৯। বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে এবং ৩৫-এর বেশী বয়সের চাকরি প্রত্যাশীদের সুযোগ দেওয়া যাবে না।
এসময় বক্তারা বলেন, শিক্ষক সংকট নিরসনে ১৮তমদের অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি ৬০ হাজার জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। যাদের বয়সসীমা ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে তাদের মাধ্যমে এনটিআরসি, ১৮তম নিবন্ধনের ফল প্রত্যাশীদের সুকৌশলে বঞ্চিত করার পায়তারা করেছে। যেকোন ভাবে আমরা গণবিজ্ঞপ্তির নামে এই অনিয়মকে রুখে দিতে চাই। আমাদের দাবি আগামী নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বা বৈষম্যের দিকে আমাদেরকে ঠেলে না দিয়ে অটো এমপিওভুক্ত করে দিতে হবে। একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে এটা যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে হবে।