দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের হামলা, ভাঙচুর এবং মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বোর্ডের সামনে সব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।
এসময় তারা ‘ঢাকা বোর্ডে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই রক্তাক্ত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘শিক্ষাঙ্গনে হামলা কেন, জবাব চাই, দিতে হবে’ স্লোগান দেন।
তাছাড়া রোববার (২০ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করছেন-এমন ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ডও তাদের বহন করতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফলাফল বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে বোর্ডের ভেতরে ঢুকে পড়েন। অথচ বোর্ডে বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র থাকে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কিন্তু তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে এসব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তছনছ করার অপচেষ্টা করে। তাদের বাধা দিলে তারা আমাদের অনেকের ওপর হামলা করেছে।
শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর, অরাজকতা সৃষ্টি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপরে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা গেছে, রোববার দিনভর ঢাকাসহ দেশের পাঁচটি শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও, অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করা একদল শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে এসএসসি পরীক্ষার শতভাগ নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল তৈরি এবং তা পুনরায় প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মধ্যরাত পর্যন্ত বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ ছিলেন। একপর্যায়ে রাতে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, ময়মনসিংহ চট্টগ্রাম বোর্ডসহ দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে সেনাবাহিনীর সদস্য ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের দাবি-দাওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। উপদেষ্টা ও সচিব বৈঠক করে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও জানিয়েছে বোর্ডগুলো।