একাদশ সংসদ নির্বাচনে যেসব কেন্দ্র ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকবে সেগুলো সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (১০ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে সেই সব যন্ত্র পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী রাখা হবে। কারণ এটি একটি টেকনিকেল বিষয়। টেকনিকেল বিষয় এবং আস্থার বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। আমরা যদি সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করি এবং তারা যদি রাজি হন তাহলে ইভিএম কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিযুক্ত থাকবেন। তাদেরকে আগেভাগে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেসকল কেন্দ্রে নিয়োগ করা হবে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে মনোনয়ন ফরম কেনা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে দুইজনের মৃত্যু সম্পর্কে জানতে চাইলে সচিব বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রচার প্রচারনা মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ। এটা যদি কেউ করে থাকে, কিংবা কোনো দল, বা কোনো ব্যক্তি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারনার চালান তবে স্বাভাবিকভাবে আচরণ বিধি লঙ্ঘন হবে। আমরা ইতিমধ্যে সব রিটার্নিং কর্মকর্তদের নির্দেশনা দিয়েছি যাতে তারা প্রয়োজনীয় সংখ্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। তারা লঙ্ঘন বিষয়ে দেখভাল করবেন এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের পক্ষ হয়ে কাজ করবেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান আইজিপিকে আমাদের সিইসি মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে এবং প্রচারনা না চালান। এ ব্যাপারে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনা নিয়ে জনদুর্ভোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট একটি উৎসব। প্রচার প্রচারণা , নমিনেশন পেপার নেয়া, জমা দেয়া এটি একটি নির্দিষ্ট সীমানায় হচ্ছে। এর ফলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে এটা আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে না।
তফসিল ঘোষণার পর সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ হলেও রাজশাহীতে ঐক্য ফ্রন্ট্রের সমাবেশ হওয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু তারা আগে থেকেই অনুমতি নিয়েছে এবং নেতৃবৃন্দ রাজশাহীতে অবস্থান করছিলেন, স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে তাদের এই মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছে।
জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে হলে আগামীকাল রোববারের মধ্যে ইসিকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন তারা এ ব্যাপারে সময় চাইবেন- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে জানানো জন্য আইনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারপরও যদি তারা সময় চান এবং কমিশন মনে করে তাহলে সেটা কমিশনের বিষয়। কমিশন যদি মনে করে এটি আইনে মধ্যে কুলায় না তাহলে সময় বাড়াবে না। এটি সম্পূর্ণই কমিশনের সিদ্ধান্ত। দলগুলো যদি এই সময়ের মধ্যে তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধনহীন রাজনৈতিকগুলোকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা অন্যদলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে।
বিএনপির নির্বাচন পেছানোর দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, ইসি একটি তফসিল দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত নির্বাচন তারিখ পেছানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। সবগুলো দল যদি পেছানোর ব্যাপারে একমত হলে নির্বাচন পেছাবে কিনা, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব দদল একমত হলে, কমিশন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। এটি সম্পূর্ণ কমিশনের এখতিয়ার।