কিশোরগঞ্জ বিএনপিতে জোয়ার, ফিরছেন নেতারা

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 00:45:27

হঠাৎ বদলে গেছে দৃশ্যপট। নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণায় জোয়ার জেগেছে বিএনপিতে। প্রায়-স্তিমিত দলের নেতা-কর্মীরা সাজ সাজ রবে মাঠে নেমেছেন।

কিশোরগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনে কোমর শক্ত করে দাঁড়িয়েছে দলটি। এলাকা-ছাড়া নেতা-কর্মীরাও ফিরে আসছেন নির্বাচনে অংশ নিতে।

বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক জেলা সভাপতি ড. ওসমান ফারুক আছেন বিদেশে। মামলা হওয়ায় তিনি দেশ ছেড়েছিলেন। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা দলীয় মনোনয়ন কিনতে প্রস্তুত। ‘তিনি নির্বাচন করবেন এবং দেশে ফিরে এসে দলের হাল ধরবেন’, বার্তা২৪.কমকে বলেন করিমগঞ্জ বিএনপির কর্মী সাইদুল হক।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দ আশরাফকে মোকাবেলা করার জন্য মাঠে নামছেন সাবেক সিনিয়র জজ, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান চুন্নু। ‘আমরা মাঠ প্রস্তুত করে রেখেছি। এখন দল নির্বাচনে যাওয়ায় ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ব’, জানান কিশোরগঞ্জ সদরের যুবদল কর্মী সাইফুদ্দীন।

দল নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণায় কিশোরগঞ্জ জেলার সব কটি আসনেই বিএনপির ম্রিয়মান কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎফুল্ল ভাব লক্ষ্য করা গেছে। বিনা যুদ্ধে নির্বাচনকে ছেড়ে দেবেন না তারা। যেসব নেতা—কর্মী এলাকায় ছিলেন না, তারাও একে একে ফিরে আসছেন।

ইউরোপ প্রবাসী অর্থনীতিবিদ ড. শহীদুজ্জামান কাকন কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে লড়ার জন্য দেশে ফিরে আসছেন। বার্তা২৪.কমকে টেলিফোনে তিনি জানান, ‘আমি নিয়মিত এলাকায় আসা-যাওয়া করে বাড়ি বাড়ি যোগাযোগ সম্পন্ন করেছি। দলের হয়ে নির্বাচন করার জন্য আমি দেশে ফিরে আসছি।’

কিশোরগঞ্জের অন্যান্য আসনেও বিএনপির একাধিক প্রার্থী প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য। স্থানীয় বিএনপির একজন প্রবীণ নেতা বার্তা২৪.কমকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক। দলীয় নেতা-কর্মীদের ধরে রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল বিধায় এ সিদ্ধান্ত দলকে চাঙ্গা করবে। বিএনপির অংশগ্রহণের ফলে নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং একতরফা কারচুপি করা সম্ভব হবে না।’

তবে কিশোরগঞ্জ বিএনপির একাধিক নেতা ও কর্মী বার্তা২৪.কমকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়াই যথেষ্ট নয়। নির্বাচনে সঠিক প্রার্থী মনোনয়ন করাও জরুরি। দলের ত্যাগী, বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় নেতাদের বদলে যদি অতীতের মতো ভুল প্রার্থী দেওয়া হয় তবে নির্বাচনে ভরাডুবি হবে।’

স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীরা ভোটের মাঠে তরুণ, উদীয়মান নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন। যারা বিএনপির অতীত ও বর্তমানে সততার সঙ্গে কাজ করে সংগঠন বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচনে ভালো ফল করা সম্ভব হবে বলেও তারা বিশ্বাস করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর