আইনে থাকলে তারেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইসি: রফিকুল

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 23:13:07

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকারের বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে এবং আইনে থাকলে তার বিরুদ্ধে কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশানার মো. রফিকুল ইসলাম।

রোববার (১৮ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেনন্সের মাধ্যমে দলের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করছেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী এটা করতে পারেন কিনা- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা বলেছেন, আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এই ধরণের কোনো কিছুকে মনিটরিং করার নিজস্ব ক্যাপাসিটি নাই। যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা আইনের মধ্যে যদি কিছু থাকে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলব। আর যদি আইনের ভেতরে যদি কিছু না থাকে তাহলে আমরা নিজেরা কমিশন বসে কি করতে পারি, সেটা পর্যালোচনা করে দেখে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি বলেন, যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন তাহলে পরে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যদি কিছু থাকে। তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলব।

তারেক রহমান যদি দেশে থাকত তাহলে তিনি ভিডিও কনফারেন্স করতে পারত কিনা- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হন তাহলে অবশ্যই তার জেলে বা পলাতক থাকার কথা। কেউ জেলে থাকলে এ ধরণের কাজ করার কথা না। জেল থেকে যদি উনি জামিনে আসতেন, তাহলে করলে পরে কোনো অসুবিধা ছিলো না। কিন্তু এক্ষেত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইনের কাভারেজ কতটুকু কি আছে এগুলো দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

তফসিল ঘোষণার পর ইসিতে দেওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলার তালিকা বিষয়ে তিনি বলেন, তালিকাটি আমি দেখিনি। আমরা দেখে সত্যিকার অর্থে যদি কোনো হয়রানিমূলক মামলা হয়ে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেব- যেন হয়রানিমূলক মামলা না করে। কারণ হয়রানিমূলক মামলা করলে নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা হলেও বিনষ্ট হবে। হয়রানিমূলক কিছু হয়ে থাকে কমিশন নির্দেশনা দিবে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য।

নির্বাচনী প্রচারণা সম্পর্কে তিনি বলেন, রোববারের (১৮ নভেম্বর) মধ্যে আগাম সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে ফেলতে হবে। যদি কেউ সরিয়ে না ফেলেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রিসাইডিং ও সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ফোন দিয়ে হরয়ানির করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। অতি উৎসাহী হয়ে কোনো পুলিশ এমন কিছু করলে আমাদের জানান। কোনো ব্যক্তিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া হয়রানি না করার পরামর্শ তার। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে নাম-ঠিকানাগুলোতে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো। আমি মনে করি পুলিশের তালিকা নেওয়ারই দরকার ছিল না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর