রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা না করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে চিঠি দেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে বিষয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ করবেন কিনা- সাংবদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকে মাননীয় কমিশন একটি নির্দেশনা দিয়েছে। সবগুলো বিষয় মিলিয়ে সরকারকে আমরা একটা পত্র দেব। রির্টানিং কর্মকর্তার নির্বাচন কমিশনের অধীন হওয়ায় তাদের যাতে অন্য কোনো ভাবে কেউ ডেকে সভা না করা হয়। এগুলো ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেব।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রির্টানিং কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে সভা করা হয়েছে- এট আচরণবিধি লঙ্ঘন কিনা- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা অভিহিত নই। যেহেতু একটি অভিযোগ এসেছে, আমরা খতিয়ে দেখব।
হেলালু্দ্দীন আহমদ বলেন, কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশন তা তদন্ত করে দেখবে কেন তার বদলি চায়। সবকিছু বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কমিশন তা খতিয়ে দেখবে, তলিয়ে দেখবে, তদন্ত করবে, তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিএনপির অভিযোগ তাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেয়ার আসার পথে সাদা পোষাকের লোকজন তাদের তুলে নেয়া হচ্ছে- এর জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা অভিহিত নই। আমরা যদি এবিষয়ে অভিযোগ পাই তাহলে ব্যবস্থা নেব।
তার শাস্তি ও বদলি ব্যাপারে বিএনপির দাবির প্রেক্ষিতে সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে সিদ্ধান্তগুলো হয়, ওই সিদ্ধান্তের মুখপাত্র হিসেবে ও সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য ইসি সচিব সকল ধরনের কাজ করে থাকে। এখানে নির্বাচন কমিশন সচিবের আলাদা কোনো সত্ত্বা নেই। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব সচিবের। এজন্য ইতিমধ্যে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে, সেগুলো কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত।
মেনটরদের তালিকায় তার নাম থাক নিয়ে সচিব বলে, মন্ত্রিপরিষদ ১৩ নভেম্বর মেন্টর নিয়োগের আদেশটি বাতিল করেছে। জেলাতে মেন্টর নিয়োগের বিষয়টি অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন জেলায় মেনটর নিয়োগ করে থাকে।
তফসিল ঘোষণার দিন মেনটর নিয়োগ করা হয়েছে, তবুও কেন কমিশনকে জানানো হয়নি এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি অভিহিত নই।
ইভিএম সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির অভিযোগ সরকারের কারণে আপনার রেফারির ভূমিকা পালন করতে পারছেন না-কেন পারছেন না- আসছে চাপটা কোথায়- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনাররা নিজেরা বসে নিয়েছেন। এখানে কানো চাপে বা পরামর্শে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রশাসনের রদবদলের বিষয়ে বিএনপির অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ঢালাওভাবে প্রস্তাব কমিশন গ্রহণ করবে না। প্রত্যেকটি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। তখন বিষয়টি নির্বাচন কমিশন তদন্ত করবে কি কারণে তার বদলি চায়।