ঠাকুরগাঁও-১: বিএনপিতে ফখরুল, আ.লীগে একাধিক প্রার্থী

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 11:11:15

উত্তর অঞ্চলের জেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও। এই জেলায় সংসদীয় আসন তিনটি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও-১ আসন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২১ হাজার ৬২২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৫২৬ ও নারী ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ৯৬ জন। নতুন ভোটার সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৪৯ জন। ভোটকেন্দ্র মোট ১৭৫টি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীরা। করছেন গণসংযোগ। তবে যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিতে চান সাধারণ ভোটাররা।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতারা মনোনয়ন লাভের আশায় কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি করছেন গণসংযোগ।

নৌকার টিকিট পেতে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ৩ বারের প্রয়াত এমপি খাদেমুল ইসলামের ছেলে সাহেদুল ইসলাম সাহেদ, প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও সাবেক গভর্নর ফজলুল করিমের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. মকবুল হোসেন বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, সাবেক যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো, কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক রাজিউর রেজা খোকন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইন্দ্রনাথ রায়, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব মহিলা লীগের সভাপতি তাহমিনা আক্তার মোল্লা, ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান খোকন ও জেলা আওয়ামী লীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জামান দুলাল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, মহিলা নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকি তুলি, আঞ্জুমানারা বন্যা। তবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন তারা।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের রয়েছে একাধিক প্রার্থী। তবে বিএনপিতে রয়েছে একক হেভিওয়েট প্রার্থী।

বিএনপিতে একক হেবিওয়েট প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আওয়ামী লীগের মধ্যে দলীয় কোন্দল, বর্তমান এমপি ও তার নিকটতম নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগের কারণে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনে করছেন, নিজ নির্বাচনী আসনে বেকায়দায় থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৩ ভাগ ভোটারদের কাছে টানতে না পারলে পুনরায় আসনটি হারাতে পারেন বিএনপির হেভিওয়েট এ প্রার্থী।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে ঠাকুরগাঁও সদর আসনটিতে প্রথম নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খাদেমুল ইসলামের কাছে হারেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের একই প্রার্থীর কাছে হারার পর ২০০১ সালে বর্তমান এমপি রমেশ চন্দ্র সেনকে হারান তিনি। ২০০৮ সালে রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে ফের হেরে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে আবরো বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ।

কিন্তু দীর্ঘদিন সরকার ক্ষমতায় থাকার পরেও বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন নানা কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে আগামী নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রার্থী পরিবর্তনের প্রস্তাব রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর