হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেফতার করা যাবে না: সিইসি

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-13 08:27:10

হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেফতার না করতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করবেন না। কাউকে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেফতার করা যাবে না। আশা করি আপনারা এটা করছেনও না।

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার কথা আমরা বলিনি। এটা আপনারা করবেন না। কারণ এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে। যারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তারা বিব্রত হন। আমরা এটা চাইনা।

১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে সিইসি বলেন, যদি তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় তাহলে কোনো ব্যক্তির তথ্য গোপন সূত্র ব্যবহার করে সংগ্রহ করতে পারেন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করার দরকার নেই। এটা আমরা চাই না।

সিইসি আরো বলেন, অবাধ, সুষ্ঠ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কারণে যেনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সব দল অংশ নিবে। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি একা করা সম্ভব নয়। প্রজাতন্ত্রের সকলে মিলেই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কাজ করব। নির্বাচনের সিংহভাগ দায়িত্ব পুলিশের থাকে। ভোটারের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের উপরই বেশি থাকে।

নির্বাচন পরর্বতী সহিংসতা রোধ করাও আপনাদের দায়িত্ব। ঐতিহ্যগতভাবেই এই দায়িত্বও আপনাদের। এবারো দেশের বৃহত্তম স্বার্থে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান মতে কর্তৃত্ব নয়, বিবেক মতে কাজ করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তার বিষয়ে সংবিধানে যেমন বলা আছে।

সিইসি আরো বলেন, নির্বাচন যেন কোনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে আমরা পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তবে কমিশন আপনাদের কর্মকাণ্ড নজরদারি করবে। অলরেডি অভিযোগ আসা শুরু করেছে। তবে, নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করবেন। ভালভাবে যাচাই না করে আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এতে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য একমাত্র পুলিশেরই আছে। তাই বিভিন্ন বাহিনী পুলিশের কাছ থেকেই পরামর্শ নিবে। পুলিশকে এখনই কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে বলেও জানান সিইসি।

তিনি জানান, ১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম পুলিশের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতি জেলায় থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম। এদেরকে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবেন। তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। অন্যান্য বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।

সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইজিপি, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর