চাঁদপুরে সংসদীয় আসন পাঁচটি। প্রতিটি আসনেই বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে দুইটি আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর প্রার্থীদের নিয়ে চিন্তায় আছে বিএনপি। এ পর্যন্ত চাঁদপুরে পাঁচটি আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পেয়েছেন ১৪ জন।
গত দুই দিন ধরে বিএনপি দলীয় মনোনয়নের চিঠি দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত চাঁদপুরের কোনো আসনেই বিএনপি’র একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি। দলের নেতা-কর্মীরা যে যার অনুসারী, সে তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলন ও মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনে সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে তানভীর হুদা ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. জালাল চৌধুরী, চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর-হাইমচর) আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সাবেক সংসদ সদস্য জিএম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ্ব রাশেদা বেগম হীরা, নাগরিক ঐক্যের এ্যাড. ফজলুল হক সরকার ও গণফোরামের জেলা সভাপতি এ্যাড. সেলিম আকবর।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি এম এ হান্নান ও সাবেক এমপি লায়ন হারুন। চাদঁপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মতিন ও এলডিপি থেকে ড. নেয়ামুল বশির।
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবু সুফিয়ান রানা বলেন, ‘চাঁদপুর-৫ আসনে মুলত ইঞ্জি. মমিনুল হক চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন।’ একাধিক দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি কারো মনোনয়ন বাতিল হয়, তাহলে যেন পরবর্তী জন নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।’
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মনোনয়নের চিঠি পাওয়া রাশেদা বেগম হীরা বলেন, ‘অবশেষে বিএনপি’র মনোনয়ন হাতে পেলাম। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ নিবাচনে অংশ নিয়েছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিই একমাত্র লক্ষ্য।’