সুনির্দিষ্টভাবে কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের গাফিলতির অভিযোগে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি তারা ইসি ও আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে এসব কথা বলেন তিনি।
এরআগে সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, সাবেক স্বশস্ত্র কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আচরণবিধির লঙ্ঘন। তবে গণভবনে স্বশস্ত্র বাহিনীর সাবেক ১৫০ কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আচরণবিধির লঙ্ঘন নয় বলে জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বলেন, আমাদের এখানে যদি কেউ আসে, এসে বলে আপনারা যা করছেন, ভালো করছেন। আমার বন্ধু যারা রিটার্ড কর্মকর্তা, যারা কোনো কিছুর সাথে জড়িত না - তারা এসে বলল, দোস্ত যা করছিস, ভালো করছিস। ভবিষ্যতে যেন এরকই থাকে। এটা আমাকে এক ধরনের মানসিক সমর্থন যোগানো। এটা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আচরণবিধির লঙ্ঘন মনে করছেন, যদি মনে করেন, তাহলে কোন ধারার লঙ্ঘন?’
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উনি তো সরকারে আছেন। সংবিধানে উনাকে (প্রধানমন্ত্রী) লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হলেও অধিষ্ঠিত নয়। ওই ধারার জন্য প্রযোজ্য হবে। উনি তো উনার বাসভবন থেকে যেতে পারবেন না। কারো সঙ্গে যদি উনি দেখা করতে চান, তাহলে কোথায় দেখা করবেন? রাস্তার মধ্যে এসে?’
এ ধরনের সাক্ষাতের জন্য দলীয় কার্যালয় আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই, বাসভবন ওটা। গুলাইয়েন না কিন্তু। কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়, আমি কি রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখা করব। তারা আসছেন আমার বাসাতে, আমাকে বাসাতেই দেখা করতে হবে।’ তাহলে গণভবন, বঙ্গভবন ব্যবহার করে প্রচার চালানো যাবে কি না, এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রচার চালালে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে, তখন আমরা ব্যবস্থা নেব। তারা (অভিযোগকারী) বলুক, প্রচার চালাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা আসছেন, দেখা করেছেন, সমর্থন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। আমি যতটুকু আচরণ বিধিমালা বুঝি, তাতে মনে হচ্ছে না এটা আচরণ বিধির লঙ্ঘন।’