নারায়ণগঞ্জ থেকে: আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের আগে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় বিধি-নিষেধ থাকায় অনেকটা গোপনেই চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা।
সেই সঙ্গে ভিন্নধর্মী প্রচারণার কৌশল হিসেবে ফেসবুকে সরকার মনোনীত প্রার্থী ও তাদের সমথর্করা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছেন। বিরোধীরা মেতে উঠেছে কঠোর সমালোচনায়। দুই দলের প্রার্থীরা দিচ্ছেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি।
ভোটের পরিস্থিতি, জনগনের মতামত জানতে কুয়াশা ঘেরা শনিবারের সকালে পৌঁছে যাই রাজধানীর নিকটবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন শামীম ওসমান। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ।
এছাড়াও এ আসনে বাসদের সেলিম মাহমুদ, সিপিবির ইকবাল হোসেন ও জমিয়তে ইসলামীর মনির হোসেন কাশেমী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে লড়াইটা নৌকা বনাম ধানের শীষই হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
সকাল থেকে জেলার চাষাড়া মোড়, টানবাজার, তুলারাম কলেজ ঘুরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কোনো ব্যানার, ফেস্টুন চোখে পড়েনি। বিভিন্ন বয়সী মানুষের কাছে জানতে চাই ভোট নিয়ে তাদের ভাবনার কথা।
পেশায় শিক্ষক প্রসেনজিৎ বার্তা২৪কে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ওসমান পরিবারই শেষ কথা। এই পরিবারের শামীম ওসমানই সাংসদ হবেন আবারো।’
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় শামীম ওসমানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে।’
পাবনার আবু তাহের ১০ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে রিক্সাচালক চালাচ্ছেন। এখানকার ভোটারও হয়েছেন। তার কাছে ভোটের কথা জানতে চাইলে বলেন, 'হাসিনা আসুক আর খালেদা আসুক হামাক তো রিক্সা চালায়েই খাতে হবে।’
ভোট কাকে দেবেন জানতে চাইলে আবু তাহের বলেন, 'ভোট হাসিনাকই দিমু।’
পৌর শহীদ মিনার ঘেঁষে চা বিক্রী করছিলেন আসলাম উদ্দিন। তার কাছে আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোটে যেই পাস করুক আমরা খেয়ে পড়ে বাঁচতে চাই। আর এই এলাকা শামীম ওসমানের ঘাঁটি। তার সঙ্গে বিএনপি’র কেউ টক্কর দিয়ে পারবে না।’
পাশেই দাঁড়ানো বিএনপির সমর্থক আবুল কাশেম বললেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’