আয় বেড়েছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী ও চুমকির

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 23:42:23

গাজীপুরের ৫টি আসনে  আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন একজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের দাখিলকৃত হলফনামায় তাদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ।

গাজীপুর ১  আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের রিটার্নিং অফিসারের নিকট দায়ের  কৃত হলফনামা অনুযায়ী কৃষি জমির পরিমাণ ৩৫  শতাংশ অকৃষি জমি রয়েছে ১৪ শতাংশ, বাড়ি রয়েছে ২টি, যার মধ্যে একটি আধাপাকা টিনসেড অন্যটি পাকা দোতলা। পেশা হিসেবে অতীতে আইনজীবী থাকলেও এবার তা পরিবর্তন করে দিয়েছেন কৃষি,মৎস্য পোলট্রি। কৃষিখাত থেকে আয় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া থেকে ৩৬হাজার টাকা পোলট্রি থেকে আয় ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে ২৬ হাজার ও পারিতোষিক ভাতাদি থেকে ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা ,নগদ টাকা রয়েছে ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩ টাকা, ব্যাংকে জমা রয়েছে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩ টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯০৪ টাকা। 

এছাড়াও গাড়ি রয়েছে ৩টি যার দাম উল্লেখ করা আছে ১কোটি ২৮ লাখ টাকা। স্বর্ণ রয়েছে নিজ নামে ১০ তোলা ও স্ত্রীর নামে ১২ তোলা।  ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১ লাখ টাকার ও আসবাব রয়েছে দেড় লাখ টাকার, শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি।

দশম সংসদ নির্বাচনেও দাখিলকৃত হলফনামায় তাঁর জমি ও বাড়ির পরিমাণ ছিল একই  তবে সেসময় কৃষি জমি থেকে আয় ছিল ১লাখ ৭৫হাজার বাড়ি ভাড়া থেকে ৩৬হাজার, আইন পেশা থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার ও পারিতিাষিক আয় ১৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। নগদ টাকা ছিল  ৫ লাখ ৪ হাজার ২৯৫ টাকা,  ব্যাংকে জমা ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৭ টাকা। স্ত্রীর নামে ছিল ৬০ হাজার ১৯৫ টাকা, ও নির্ভরশীলদের নামে ১ লাখ ৩৬হাজার ২৯৮ টাকা। গাড়ি ছিল ২টি যার মূল্য ছিল ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

গাজীপুর ৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকীর দায়েরকৃত হলফনামা অনুযায়ী নিজে বাড়ি ভাড়া পান ৬ লাখ ১০ হাজার ৮৯০ টাকা, স্বামী পান ৭ লাখ ২০ হাজার, শেয়ার সঞ্চয়পত্র ও আমানত রয়েছে ৬ লাখ ১০ হাজার ৩৬৭ টাকার, স্বামী চাকরি থেকে আয় ১৪ লাখ টাকা, সংসদ সদস্য  হিসেবে বেতন ভাতা ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা। নগদ টাকা না থাকলেও ব্যাংকে জমা রয়েছে নিজ নামে ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৬২  টাকা, স্বামীর নামে  ৮২  লাখ ৯৪ হাজার ৪২২ টাকা, স্বামীর নামে বন্ড ঋণপত্র ও  সঞ্চয়পত্র আছে ১০লাখ টাকার, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ করা আছে নিজ নামে ২০লাখ স্বামীর নামে ১৩লাখ টাকা। এবং গাড়ি রয়েছে যার মূল্য ১ কোটি ৩৩লাখ ৩১হাজার ৯৯৩টাকা। স্বর্ণ রয়েছে  নিজের ২০হাজার টাকা ও স্বামীর ১ লাখ ৭২ হাজার টাকার। স্বামীর নামে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১লাখ ৯৫ হাজার টাকার ও আসবাব রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকার। জমির কোনো পরিমাণ উল্লেখ করা না থাকলেও অকৃষি জমির মূল্য দেখানো হয়েছে নিজ নামে ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও স্বামীর নামে ৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার। ২টি বাড়ি রয়েছে যার মূল্য নিজের ৩২  লাখ ৩৬ হাজার ৯৮০ টাকা ও স্বামীর নামে ৮৭  লাখ ৩৬ হাজার ২২১ টাকা। তার নামে কোন  মামলা বা তাঁর কোন দেনা নেই।  শিক্ষাগত যোগ্যতা  এমএসসি,পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাজনীতি ও সমাজসেবামূলক কাজ।

যদিও দশম সংসদ নির্বাচনে দায়েরকৃত হলফনামা অনুযায়ী তাঁর বাড়ি ভাড়া থেকে ১লাখ ৭১হাজার টাকা শেয়া সঞ্চয়পত্র থেকে আয় ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭০০টাকা সংসদ সদস্য হিসেবে বেতন ভাতা থেকে প্রাপ্ত ৩ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা। নগদ টাকা না থাকলেও ব্যাংকে জমা ছিল নিজের ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, স্বামীর নামে ১৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা,বন্ড ও ঋণপত্র স্বামীর নামে ১০ লাখ টাকা,গাড়ি ছিল ৬৭লাখ ৩১ হাজার ৯৯৩ টাকা, স্বর্ণ ছিল নিজের ২০ হাজার টাকা ও স্বামীর নামে ১ লাখ ৭২হাজার টাকার, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নিজের না থাকলেও স্বামীর ছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, আসবাব নিজের ৩০ হাজার ও স্বামীর ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকার। স্বামীর নামে ৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার অকৃষি জমি থাকলেও নিজের ২টি বাড়ির মূল্য ছিল ৩২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর