রওশনের ৫ বছরে নগদ টাকা বেড়েছে ১০ গুণ

বিবিধ, নির্বাচন

উবায়দুল হক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ | 2023-09-01 14:39:22

পাঁচ বছরে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদের নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১০ গুণ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালে তার হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা। গত ৫ বছরে সেই টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখে।

শুধু নগদ টাকাই নয়, বাড়ি ভাড়া থেকেও বেড়েছে তার আয়ের পরিমাণ। ২০১৩ সালে বাড়ি ভাড়া বাবদ তিনি পেতেন ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। এখন এ খাত থেকে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ১০৪ টাকা আয় করেন এরশাদপত্নী। 

ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রের হলফনামা থেকে এমন তথ্যই মিলেছে।

রওশন এরশাদ গতবারের মতো এবারো ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগ আসনটিতে এবার কোন প্রার্থী না দেয়ায় রওশনই যে মহাজোটের প্রার্থী তা নিশ্চিত। তবে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে দলীয় সূত্র বার্তা২৪কে জানিয়েছে।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগম রওশন রংপুরের একটি আসন থেকে নির্বাচন করেন। ওই সময় জমা দেয়া নির্বাচনী হলফনামায় দেয়া তথ্যমতে সেসময় তার কাছে নগদ টাকা ছিল ছিল ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর বাড়ি ভাড়া থেকে আয় করতেন ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

শশুরবাড়ি এলাকার আসন থেকে এরপর রওশন ফিরে আসেন তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহে। ইতিপূর্বেও এ জেলার সদর আসন থেকে প্রার্থী ছিলেন। আবার নির্বাচনকালীন সরকারেও তিনি মন্ত্রী ছিলেন। এরপর বিএনপিহীন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে রওশন এরশাদ বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পান।

এবারের হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্য মোতাবেক তার বন্ড, ঋণপত্র রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। ৬০ লাখ টাকা বিভিন্ন ধরণ সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ। তিনটি ভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ির দাম অর্জনকালীন সময়ে ১ কোটি ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৫০ টাকা।

হলফনামায় তিনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমাণ দেখিয়েছেন ২৫ কোটি ৭০ লাখ ২৯ হাজার ২৩৩ টাকা। তার কাছে সোনা রয়েছে ১০০ ভরি। ২০১৩ সালেও ছিল একই পরিমাণ। যদিও ২০০৮ সালের হিসেবে ২০১৩ সালে সেটি ৩ গুণ বৃদ্ধি পায়। ২০০৮ এ ছিল মাত্র ৩০ ভরি।

স্থাবর সম্পদ হিসেবে রওশনের নিজের নামে রয়েছে ১৩ হাজার ১৭৫ একর জমি। অর্জনকালীন সময়ে যার দাম ৩৩ লাখ টাকা। অর্জনকালীন সময়ে অকৃষি জমির দাম ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। দু’টি ফ্ল্যাট ও একটি বাড়ির দাম অর্জনকালীন সময়ে ৬ কোটি টাকা। চাকরি থেকে বিরোধী দলীয় নেতার বর্তমান আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের পাশাপশি বিরোধী দলীয় এ নেতা প্রার্থী হয়েছেন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসন থেকেও। যদিও এ আসনে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। রওশন এরশাদ শুধু সদর নাকি এই দুই আসনেই প্রার্থী হবেন তা নিশ্চিত হওয়া যাবে আসন সমঝোতা হওয়ার পরেই। তবে দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন দুইটি আসনই থাকবে বিরোধী দলীয় নেতার দখলে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর