ঢাকা-১০: যোগ্যতা, ব্যবহারে তাপস অধিক যোগ্য!

বিবিধ, নির্বাচন

মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 22:32:25

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়ে যে উন্নয়ন করেছেন তার যোগ-বিয়োগ এবং আগামীর একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রতিনিয়ত হাজির হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। অপরদিকে নানাবিধ জটিলতায় নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নং ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-১০ আসন। এটি জাতীয় সংসদের ১৮৩ তম নির্বাচনী আসন। এই আসনটিতে ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-১০ আসনের নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থকরা লিফলেট বিলি করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি, এমনকি প্রচার-প্রচারণায় আছে এমন কিছু শোনাও যাচ্ছে না।

এ আসনে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপির বিজয়ী প্রার্থী ছিলেন আব্দুল মান্নান। ঢাকা-১০ আসনে এবার তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়াও আব্দুল মান্নানের নিজ জামাতা ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীমও রয়েছেন এই আসনে বিএনপির প্রার্থী। দল এখনো কাউকেই চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি।

ধানমন্ডি লেকের পাড়ে হাঁটছিলেন ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম ঠাকুর। তিনি ঢাকা-১০ আসনের ভোটার। বার্তা২৪.কমকে তিনি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই তার যোগ্যতা, ব্যবহার এবং পরিচিতি দেখে বিবেচনা করা উচিত। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস অধিক যোগ্য।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে লিফলেট, ব্যানার, পোস্টারে চিনলেও বিএনপির প্রার্থীকে চিনেন না বলে বার্তা২৪.কমকে জানালেন ১৫ নং ওয়ার্ডের অপর ভোটার কাজী রেজাউল হাসান।

তিনি বলেন, ‘তাপস একজন ভদ্রলোক। তাছাড়া তিনি এলাকার সন্তান হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। উন্নয়নেও কাজ করেছেন তিনি। তাছাড়া বিএনপি কিংবা অন্যান্য দলের প্রার্থী আমাদের কাছে আসেনি কখনো।’

তবে বিএনপির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, অব্যাহত হামলা, মামলা, গ্রেফতারের কারণে নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারছে না। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে সকল নেতাকর্মী একযোগে মাঠে নামবে এবং প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর