নড়াইল-১ আসনে ওভার ট্রাম্প করে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন কবিরুল হক মুক্তি।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নৌকা প্রতীকের চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি পেলেন সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান হল সকল জল্পনা-কল্পনার। কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নড়াইল সদরের ৫টি ইউনিয়ন ও কালিয়া উপজেলা নিয়ে নড়াইল-১ আসন গঠিত। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কে থাকছেন? এ প্রশ্ন জেলা-উপজেলার অফিস পাড়া থেকে শুরু করে চায়ের দোকান সবখানেই চলছিল, আর রাজনৈতিক মহলে তো আলোচনা-সমালোচনার শেষ ছিল না।
এ আসনে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল দু’জনকে। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি এবং জাসদ নেতা শরীফ নুরুল আম্বিয়া। কবিরুল হক মুক্তি দলীয় সভানেত্রী স্বাক্ষরিত মনোনয়নপত্র হাতে পান ২৬ নভেম্বর রাতে। ওই রাতেই তিনি এলাকায় ফিরলে তাকে কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। খুশিতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দেন তিনি। তবে পরদিন ২৭ নভেম্বর খবর আসে শরিক দলের জাসদ নেতা শরীফ নুরুল আম্বিয়াকেও নৌকা মার্কার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষই জোর তৎপরতা ও তদবির চালিয়েছেন মনোনয়ন ঠিক রাখার জন্য। তবে জনপ্রিয়তার জরিপে এগিয়ে ছিলেন কবিরুল হক মুক্তি। তাইতো এক প্রকার ওভার ট্রাম্প করেই নৌকা পেলেন মুক্তি।
মুক্তির বাবা শহীদ এখলাস উদ্দিন আহম্মেদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। এছাড়া তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কালিয়া পৌরমেয়র ও নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য। মুক্তি নিজেও কালিয়া পৌরসভার দুইবারের মেয়র এবং দুই বারের সংসদ সদস্য। নিজ নির্বাচনী এলাকায় সেতু-কালভার্ট, সড়ক, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি।
জানা গেছে, নড়াইল-১ আসনে ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মুক্তি বিজয় লাভ করেন মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কমরেড বিমল বিশ্বাস এবং বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে পরাজিত করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন তিনি।