ফরিদপুর-১ আসনে আ'লীগের মনজুর দুর্নীতি মামলার আসামি

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-26 20:44:40

ফরিদপুর-১ (মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সচিব মনজুর হোসেন দুর্নীতি মামলার আসামি। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ডেসকোর মালিকানা শেয়ার গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালের ৮ আগস্ট শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় তদন্ত শেষে ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে মনজুর হোসেনেরও নাম আছে। বর্তমানে মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতে স্থগিত রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তথ্যে থেকে এসব জানা গেছে।

এই প্রার্থীর জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে আরও জানা গেছে, মনজুর হোসেন তার ও স্ত্রী ডেইজি বেগম রেহানা নামে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাবও দিয়েছেন। যেখানে তিনি মাছ চাষ, ব্যাংক থেকে সম্মানী ও সুদ থেকে তার বছরে সর্বোচ্চ আয় হয় বলে জানিয়েছেন।

এ খাত থেকে তিনি বছরে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮০ টাকা আয় করেন। এর পরেই আছে পরামর্শক খাত। এখান থেকে তিনি বছরে ৪ লাখ ২২ হাজার ৪০০ টাকা আয় করেন। ব্যবসা থেকে তার বছরে আয় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কৃষিখাত থেকে বছরে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। সবমিলিয়ে বছরে ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮০ টাকা আয় করেন।

এ ছাড়া তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তির অস্থাবর সম্পদের তালিকাও দিয়েছেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছেন, তার কাছে নগদ ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৭ টাকা রয়েছে। স্ত্রী ডেইজি বেগম রেহানার কাছে আছে ১২ লাখ ৯ হাজার ৩২১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মনজুর হোসেনের নামে জমা আছে ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৮ টাকা। সরকারি চাকরিজীবী স্ত্রীর নামে জমা আছে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮১ টাকা। তার নিজের নামে কোনো বন্ড বা কোম্পানি শেয়ার নেই। আছে স্ত্রীর নামে। পরিমাণ ৫ হাজার টাকা।

এ ছাড়া সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে প্রার্থীর ব্যক্তিগত কোনো বিনিয়োগ নেই। তবে স্ত্রীর নামে ৫৯ লাখ ৪ হাজার ৩৯৫ টাকার সঞ্চয়পত্রে ও আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে। স্ত্রীর নামে স্বর্ণালংকার রয়েছে ১৮ ভরি। অর্জনকালীন সময়ে তার মূল্য দেখিয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রার্থী ও প্রার্থীর স্ত্রী দুজন মিলে ১ লাখ ৪০ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মালিক। যার মধ্যে আছে ফ্রিজ, টিভি ও ওভেন। নিজের নামে আসবাবপত্র আছে ৬০ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার আসবাবপত্র। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে মনজুর হোসেনের ২৪ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ রয়েছে। স্ত্রীর নামে আছে ৬ লাখ টাকা। তবে প্রার্থী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন কোনো ধরনের মোটরগাড়ি নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই হিসেবে স্বামী এবং স্ত্রী দুজনে মোট ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩১ হাজার ১৫২ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক।

এ ছাড়া স্থাবর সম্পদের তথ্য বিবরণীতে মনজুর হোসেন বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৭৮ শতক কৃষি জমির মালিক। যার অর্জনকালীন আর্থিক মূল্য ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া স্ত্রী ডেইজি বেগম রেহানার নামে ৫৪ শতক কৃষি জমি আছে। যার অর্জনকালীন আর্থিক মূল্য ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। প্রার্থীর নামে অকৃষি জমি রয়েছে ৯ কাঠা। যখন সম্পদের মালিক হয়েছেন তখন এর আর্থিক মূল্য ছিল ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৫০ টাকা। স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি আছে ৫ শতক। যার অর্জনকালীন দাম দেখানো হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় ১০ কাঠা পরিমাণ একটি জমির মালিক তিনি। কেনার দর দেখিয়েছেন ৩৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫ কাঠার মালিক তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর