চাঁদপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ৬৫০ জনের নামে মামলা

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-18 09:57:54

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৬৫০ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে ১৫০ জন নামধারীসহ বাকি সবাইকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়েছে।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিএনপি শোডাউন বের করে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাই পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা ও নাশকতার চেষ্টায় মামলাটি করা হয়। এ পর্যন্ত বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছি।’

জানা গেছে, সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। ওই সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও ৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে।

মূলত বিএনপির প্রার্থী এম এ হান্নান জেলা রিটার্নিং অফিস থেকে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার পর নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন বের করেন। ওই সময় ফরিদগঞ্জ সদর বাজারে প্রবেশ করলে পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক, এস আই সুমন্ত মজুমদার, এস আই আবুল কালাম ও এসআই গোলাম রসুল। বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে- উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মোহাম্মদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমানত গাজী, সাবেক ভিপি মজিবুর রহমান, মহিলা নেত্রী ফরিদা ইয়াছমিন, শ্রমিক দলের সভাপতি আজিম, বিএনপি নেতা মানিক, নান্নু মিজি, ইকবাল হোসেন, শাহিনসহ আরও কয়েকজন।

এ ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী এম এ হান্নান পুলিশকে দায়ী করে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ‘বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ শোডাউনে অতর্কিত হামলা করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করেছে। গ্রেফতার করেছে। অতি উৎসাহী হয়ে পুলিশ আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। হামলায় বিএনপির প্রায় ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর