প্রযুক্তি নির্ভর নতুন ভোটাররা গড়ে দেবে পার্থক্য

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-11 05:37:53

২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল। এই ১০ বছরে মানুষের চিন্তা-চেতনায় এসেছে পরিবর্তন। তরুণরা এখন ফেসবুক, ব্লগ, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত। নৈতিকতা বিরোধী চর্চাতেও তরুণরা অনেক এগিয়ে। তারা নিজেদের গড়ছে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করে।

বিগত ১০ বছরে মাদরাসায়ও আধুনিক শিক্ষায় জোর দেয়ায় উঠতি তরুণ আলেম-ওলামাদের মধ্যে চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন এসেছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারাও চলতে অভ্যস্ত। দেশের বেশির ভাগ তরুণ-তরুণী নিজেদের আগামী গড়তে চায় আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। এসব বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী এবার ভোট দেবে জাতীয় নির্বাচনে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ নতুন ভোটারদের ওপরে নির্ভর করবে প্রার্থীদের ভাগ্য। তারাই গড়ে দেবে জয়-পরাজয়ের পার্থক্য। তাইতো নতুন ভোটারদের কাছে টানতে প্রার্থীরা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানবিক মূল্যবোধ, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তির উৎকর্ষমূলক আশার বাণী তরুণদের আকৃষ্ট করতে পারে। এমন চিন্তা মাথায় রেখেই প্রার্থীরা দিচ্ছেন কর্মসংস্থানসহ নানা প্রতিশ্রুতি।

রাজশাহীর ছয়টি আসনে এবার মোট ভোটার ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৫৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭১০ জন এবং নারী ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫২ জন। দশম সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীতে মোট ভোটার ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৭ জন। যোগ-বিয়োগ শেষে এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৫ জন।

এবারে, রাজশাহীতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি। এখানকার ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিরই এ অবস্থা। সবচেয়ে বেশি নারী ভোটার রয়েছে রাজশাহী সদর আসনে। এই আসনে পুরুষের চেয়ে ৬ হাজার ৩৮ জন নারী ভোটার বেশি।

সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ড নিয়ে রাজশাহী-২ (সদর) আসন। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৫২ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৭ জন। এই আসনে ৬ হাজার ৩৮ জন নারী ভোটার বেশি। এ আসনে নতুন ভোটার রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫২ জন। তাদের মধ্যে নারী ১ লাখ ৯২ হাজার ৭২৩ ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯০ হাজার ৬১৯ জন। এ আসনে নতুন ভোটার ৪০ হাজারের বেশি।

২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৯৯ ভোট। আর চারদলীয় জোটের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু পেয়েছিলেন ৮৯ হাজার ৫০ ভোট। এবারো এই দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ফলে এবার এই আসনে ভোটের ফলাফলকে নতুন ভোটাররা প্রভাবিত করতে পারে বলে এলাকায় আলোচনা রয়েছে।

রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামায়াত খান জানান, তরুণ ভোটাররা নির্বাচনের জন্য সব সময় বড় ফ্যাক্টর। নির্বাচনে তাদের সমর্থনের ওপরেও নির্ভর করে জয়-পরাজয়ের বিষয়টি। প্রযুক্তি নির্ভর এসব তরুণ ভোটারদের মন যেসব প্রার্থী জয় করতে পারবে তারাই বিজয়ী হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর