যুদ্ধাপরাধীর দোসরদের জবাব দিতে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

বিবিধ, নির্বাচন

রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2023-08-22 02:57:07

শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজ মাঠ (কোটালীপাড়া) থেকে: ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে। যারা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে, তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে।’

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজ মাঠে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলো।

বিকেল ৪টা ১ মিনিটে শেখ হাসিনা সভামঞ্চে উপস্থিত হন। তার সঙ্গে ছিল বোন শেখ রেহেনা। এ সময় জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো।

জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের প্রতিহত করতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যারা হাত মিলিয়েছে তাদের রুখতে নৌকায় ভোট দিতে হবে।’

তিনি বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাই- যুদ্ধাপরাধী, খুনি, অগ্নিসন্ত্রাসীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে; সে জন্য নৌকায় ভোট দিন। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আরও একবার আওয়ামী লীগকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জাতির পিতার স্বপ্নপূরণ করতে চাই। যেখানে যাকে নৌকা মার্কার প্রার্থী করা হয়েছে তাদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আবারও মা-বোনদের কাছে ভোট চাই। নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ বঞ্চিত হয় না।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশের মানুষ আর না খেয়ে থাকবে না, বেকার থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। আমরা মানুষের জন্য এসব সুবিধা এনে দিয়েছি। আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন। এই সরকারের কল্যাণে এটা সম্ভব হয়েছে।’

সরকারের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ঘরে বসে মানুষ টাকা উপার্জন করতে পারছে। শিক্ষাগ্রহণ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন কর সহজ হয়। আমরা শিক্ষা বিস্তারে কাজ করেছি। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। ব্যবসা-বানিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছি। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। এর ফলে বিনিয়োগ বাড়বে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশের মানুষও বিনিয়োগ করতে পারবে। একটি বাড়ি একটি খামার করেছি। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মানুষের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি গ্রামের মানুষ শহরের সুযোগ পবে। আমার গ্রাম আমার শহর হিসেবে গড়ে উঠবে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত গ্রাম গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

কোটালীপাড়ার মানুষের উদ্দেশে এই আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা বলেন, ‘পিতা-মাতা-ভাইহারা আমি। আপনারা ভোট দেন বলেই আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পাই। আপনারাই আমার আপনজন। আপনারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আরেকবার মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ জয়ধরের সভাপতিত্বে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সভপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ধর্ম সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ডা. রোকেয়া সুলতানা, আব্দুস সবুর, এস এম কামাল, এবিএম রিয়াজুল কবির কায়সার, মারুফা আক্তার পপি, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোল্লা কাওসার, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর