রাজবাড়ী-২: বিএনপিতে ঘরের শত্রু বিভীষণ

বিবিধ, নির্বাচন

মিলিতা বাড়ই মুন্নি, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 20:35:51

রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি থেকে: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ (বালিয়াকান্দি, পাংশা ও কালুখালী) আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো দলীয় কোন্দল নেই। তাই এখানে ফুরফুরে মেজাজে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দু’বারের এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম। অপরদিকে যথেষ্ট চাপের মুখে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল হক সাবু।

রাজবাড়ী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মোট ৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জিল্লুল হাকিমকে। তবে এটা নিয়ে দলীয় কোনো বিভেদ নেই। তারা একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন এবং সে অনুসারে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠে কাজ করছেন।

অপরদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ৩ জ। সাবেক এমপি নাসিরুল হক সাবু, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি হারুন অর রশীদ হারুন ও বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক। শেষ পর্যন্ত এখান থেকে দলীয়ভাবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয় সাবেক এমপি সাবুকে।

হাইকমান্ড সাবুর ওপর আস্থা রাখলেও স্থানীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য দু’জন তাকে মেনে নিতে পারেননি। সে কারণে প্রচারণা শুরুর চার দিন পরেও ওইভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিএনপির প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, দলীয় কোন্দলের দরুণ তাদেরকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। যেভাবে মাঠে কাজ করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার লোকজন।

অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হারুন অর রশিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এক ধরনের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যেটা বিএনপির নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভও দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা বার্তা২৪.কমকে জানান, নিজেদের দলীয় গ্রুপিং সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে, গ্রুপিং না থাকলে এ আসন থেকে ধানের শীষের বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। গ্রুপিংয়ের দরুণ মাঠে নেতাকর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্যে প্রচারণা চালাতে পারছে না।

উল্লেখ্য, রাজবাড়ী-২ আসনে ২০০১ সালে প্রথম বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়। এছাড়া ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর