টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। নৌকার প্রার্থীর ইন্ধনে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি লতিফ সিদ্দিকীর। হামলার প্রতিবাদে লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন।
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তার চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান লতিফ সিদ্দিকী।
অবস্থান ধর্মঘটে লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ (রোববার) সকালে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নে আমার নির্বাচনী কাজে যাই। প্রথমত সরাতৈল ও বল্লভবাড়ির মাঝামাঝি এলাকায় আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে আমরা নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বল্লভবাড়িতে মহির উদ্দিন তালুকদারের বাড়িতে যাই।’
‘সেখানে গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন তালুকদারের সাথে কথা বলার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বর্তমান সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খানের ইন্ধনে হামলা চালায়। হামলাকারীরা লাঠিসোটা দিয়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আমাদের চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী।’
পরে বিকাল ৪টার পর জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ঘটনাস্থলে যান। তারা লতিফ সিদ্দিকীকে আশস্ত করেন। পরে লতিফ সিদ্দিকী লিখিত একটি অভিযোগও দেন।
এই ঘটনায় কালিহাতী থানার ওসির প্রত্যাহারে দাবিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসের সামনে অবস্থান নেন লতিফ সিদ্দিকী। ওসিকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তিনি সেখোনে অবস্থান করবেন বলে জানান তিনি। বেলা সোয়া ২টা থেকে তিনি এই অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিকাল সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লতিফ সিদ্দিকী অবস্থান ধর্মঘটে ছিলেন।