ঢাকা-১২: প্রচারণায় নৌকার মাঝি এগিয়ে, খবর নেই বাকিদের

বিবিধ, নির্বাচন

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ | 2023-08-10 02:46:46

আর মাত্র ১২ দিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার আকৃষ্ট করতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের।

নির্বাচনী প্রচারণার এই আমেজ সারা দেশের মতো চলছে রাজধানীর ২০ টি আসনেও। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-১২ আসনেও দিন রাত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা দেখছেন ভোটাররা।

তবে নির্বাচনী প্রচারণায় ঢাকা-১২ আসনের আওয়ামী লীগের মাঝি আসাদুজ্জামান খান কামালকে এগিয়ে রাখছেন ভোটাররা। বাকি অন্য প্রার্থীদের প্রচারণার তেমন কোনও জৌলুস নেই বলে মনে করছেন ভোটাররা।

তবে অন্য প্রার্থীদের প্রচারণা কেন কম করছেন এ বিষয়ে নানা মত রয়েছে ভোটারদের মনে। তবে সব মিলিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। তাই ভোটাররাও এতে খুশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা-১২ আসনের বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা-১২ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী এলাকাটি তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, হাতিলঝিল, শেরেবাংলা নগর, রমনার থানার একাংশ নিয়ে গঠিত।

এসব এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় সব জায়গায়ই নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্বাচনী প্রচারণার সামগ্রী যেমন টানানো বেশি, তেমনি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে তারই সভা মিছিল সব থেকে বেশি।

মগবাজার মোড় থেকে শেরেবাংলা নগর থানা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার প্রতিটি অলিতে গলিতে আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্বাচনী ব্যানার ফেস্টুন বেশি। তবে মাঝে মধ্যে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি মো.জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকির ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন মোহাম্মদ শওকত হালদারের কিছু পোস্টার মগবাজার, বাংলামটরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে। তবে পোস্টারের সংখ্যা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তুলনায় কিছুই না।

তবে লক্ষ্য করার বিষয়ে হচ্ছে, এসব এলাকায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাইফুল আলম নীরবের পোস্টার তেমন একটা দেখা যায়নি। এছাড়া ভোটারদের সঙ্গেও কথা বলে জানা গেছে জনসংযোগেও তার তেমন একটা তৎপরতা নেই।

ঢাকা-১২ আসনের ৩৬ নাম্বার ওয়ার্ডের ভোটার হাজী মো.মিলন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজকে বেলা ১২ টার দিকেও মগবাজারের মনি মুকুর স্কুলে আসাদুজ্জামান খান কামাল নির্বাচনী প্রচারণার সভা করে গেছেন। ঢাকা-১২ আসনে প্রচারণার দিক দিয়ে তিনিই এগিয়ে আছেন। তবে ভোটের হিসেব কি হবে তা ভোটের দিন বোঝা যাবে।

ঢাকা-১২ আসনের পশ্চিম বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. দেলওয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই আসনে কামালেরই শক্ত অবস্থান এখন পর্যন্ত। তাছাড়া তিনি এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তাসহ বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। সেই ক্ষেত্রে উনার অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করা ভোটের মাঠে কঠিন।

এদিকে, আরও কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাছাড়া বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নীরবের বিরুদ্ধে ২০০ ওপর মামলা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রচারণার ক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থীকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

এদিকে জোনায়েদ সাকির মাঝে মধ্যে সশরীরে নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত হলেও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ শওকত হালদারসহ তাদের কোনও কর্মী আছে কিনা তাও জানেন না ভোটাররা। তারা নির্বাচনের প্রচারণায় এক জন লোকও নামিয়েছেন কিনা তাও সন্দেহ রয়েছে ভোটারদের মাঝে।

এদিকে মনিপুরী পাড়ায় অবস্থিত আসাদুজ্জামান খান কামালের বাস ভবন ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই টিমে ভাগ হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। প্রতিদিন দুইটি ওয়ার্ড ধরে ধরে এই দুই টিম নির্বাচনী প্রচারণার কাজ চালাচ্ছেন।

উল্লেখ, ঢাকা-১২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নীরব, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শাহীন খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ বিল্পবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থী মো.জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ শওকত হালদার নির্বাচন লড়ছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর