সাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শহিদুল আলম অভিযোগ করে বলেছেন, ‘তিন থানার পুলিশ আমার বাড়ি ও নির্বাচনী অফিস ঘেরাও করে প্রায় ৫০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। গায়েবি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এখন নেতাকর্মী শূন্য হয়ে পড়েছি। আমার অন্য কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।’
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ও আসিফুর রহমান তুহিন নামের তিন কর্মী।
লিখিত বক্তব্যে ডা. শহিদুল আলম বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ ও তিন থানা কালিগঞ্জ, আশাশুনি এবং দেবহাটার পুলিশ আমার অফিস ও সংলগ্ন বাসা ঘেরাও করে। এ সময় আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে এজেন্ট মনোনয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। পুলিশ এক এক করে তাদের আটক করে মাইক্রোবাসে তুলতে থাকে। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, মামলা আছে। কোনো রকম বাদ বিচার না করে পুলিশের গাড়িতে উঠাতে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আতঙ্কিত নেতাকর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে উপরতলায় আমার বাসায় ঢুকলে সব কক্ষেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারা দরজায় লাথি মারে ও ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। এ সময় নির্বাচনের কাগজপত্রও তছনছ করে তারা।’
গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করে শহিদুল বলেন, ‘এ ধরনের নিষ্ঠুরভাবে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
মনোনয়ন প্রাপ্তির পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আশাশুনিতে বোমাবাজির একটি গায়েবি মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার করে এখন বলছে তাদের নামে অনেকগুলো মামলা রয়েছে।’
গ্রেফতারকৃতদের তালিকা তুলে ধরে শহিদুল বলেন, ‘তাদের মধ্যে রয়েছে, আশাশুনি উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, দেবহাটা বিএনপি সভাপতি সিরোজুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল খালেক, জুলফিকার আলি জুলি, আছাফুর রহমান মুকুল, এবাদুল ইসলাম। এমনকি তার বাড়ির বাবুর্চি কবির এবং রায়হানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন স্থানে তার নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ কর্মীরা এলাকায় ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।’
এ সব বিষয়ে সাতক্ষীরার রিটার্নিং অফিসারকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেশ বরেণ্য চিকিৎসক ডা. আফম রুহুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ডা. শহিদুল আলম।
তারা দুজনেই সৎ প্রতিবেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাকেও বিষয়টি জানিয়েছি।’