একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে নির্বাচনী পরিবেশ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নির্বাচনী মাঠে নৌকার প্রার্থীকে দেখা গেলেও মাঠে দেখা যাচ্ছেনা বিএনপি প্রার্থীকে। তবে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উভয় প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ তোলেন।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন।
অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বাধার মুখে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারছি না। আমাকে বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত দুই মামলায় ৭০০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে, ওই মামলায় অন্তত ২০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে অন্তত ৫০ জনকে আহত করেছে। রিটার্নিং অফিসার বা প্রশাসনকে ২৪টি অভিযোগ দেয়া হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।'
বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাফরুজা সুলতানা, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে একই দিন নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল। তিনি বলেন, 'বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমকে কেউ বাধা দেয়নি। তার নির্দেশে ২০০১ সালের পর সাধারণ মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল। যে কারণে মানুষ তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। তিনি লোক লজ্জায় ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তিনি জনগণকে কি জবাব দিবে, সেই ভয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নামছেন না।'
সংবাদ সম্মেলনের পর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন আ’লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল।
উল্লেখ্য, দুটি পৌরসভা, দুটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে ভোলা-২ আসন গঠিত। আ’লীগ ও বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে মিলিয়ে সর্বমোট ৩ জন প্রার্থী আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।