ঢাকা-১৭: উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে চান ভোটাররা

বিবিধ, নির্বাচন

রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 15:19:45

প্রার্থীদের মতো ঢাকা-১৭ আসনের ভোটাররাও পড়েছেন গোলক ধাঁধায়। এ আসনের অনেক প্রার্থীকে এখনো চেনেন না ভোটাররা। আবার মহাজোট থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত না থাকায় কর্মীরাও রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। তবে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত এ আসনের ভোটাররা চান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। যে দল উন্নয়ন ও সুশাসন দিতে পারবে তাদের প্রার্থীকেই ভোট দিতে চান তারা।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা-১৭ আসনের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস, ভাসানটেক, বারিধারা ও শাহজাদপুর এলাকা নিয়ে ঢাকা-১৭ আসন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৩ জন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ১০ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন চিত্র নায়ক অকবর পাঠান ফারুক (নায়ক ফারুক), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ উল্লেখযোগ্য। তবে মহাজোট থেকে এ আসনের প্রার্থী কে হবেন সেটি এখনো চূড়ান্ত নয়। তাই ভোটারদের মনে এখনো মহাজোটের প্রার্থী নিয়ে শঙ্কা আছে। সরকারিবরোধী ২০ দলীয় জোট থেকে পার্থী একক প্রার্থী হওয়ায় তিনি কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।

গুলশান-১ নিবাসী ভোটার বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, ‘প্রার্থীরা ভোট চাইতে আসবেন, তাদের কথা শুনব। তারপর বিচার বিবেচনা করে ভোট দিতে যাব। এমন প্লানন আছে। কিন্তু এ আসনের প্রার্থী এরশাদ না ফারুক থাকছেন সেটাই এখনো চূড়ান্ত নয়। অন্যদিকে কিছু প্রার্থীর মাইকিং শুনলেও সব দলের প্রার্থীদের মিটিং-মিছিলও এখনো চোখে পড়েনি।’

কচুক্ষেতের স্বাধীনতা চত্বরের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনজন ভ্যান চালক। তাদের কাছে ভোটের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আসলে পছন্দের কোনো প্রার্থীই নেই। তা ছাড়া এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি ভোট দিতে যাব কিনা। আমাদের কাছে এখনো কেউ ভোট চাইতে আসেননি।

দুপুরে পাশেই টঙ দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। তখন তিনজন মানুষ চা দোকনে এসে রাজনৈতিক আড্ডা শুরু করেন। আওয়ামী লীগ বিএনপি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয় তাদের মধ্যে।

জানতে চাইলাম ভোট হবে কিনা, প্রশ্ন শুনে মুরাদ হোসেন নামের একজন বললেন, ‘কীসের ভোট? এমন নির্বাচনের পরিবেশ আগে দেখিনি। সেনাবাহিনী নামলে যদি বিএনপি একটু দাঁড়াতে পারে তা না হলে বিএনপি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াবে দেখে নিয়েন।’

তার কথা শেষ না হতেই টেনে নিয়ে আরেক ব্যক্তি সেলিম মিয়া জবাব দিয়ে বলেন, ‘বিএনপি কোনো দল হল? একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ২২ বার হত্যা চেষ্টা করা হয় যে দেশে সেখানে রাজনীতির কি থাকে?’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইশেতাহার দেখেন আর বিএনপির ইশতেহার দেখেন? আওয়ামী লীগ গ্রাম শহর করতে চায় আর বিএনপি চায় তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার মুক্তি। একজনের ইশতেহার সারা দেশের জন্য আরেকজনেরটা ব্যক্তিস্বার্থের জন্য।’ এসব কথা শুনে মুরাদ হোসেন চুপষে যান।

কথা যখন তুমুলে, তখন দোকনাদার উত্তর দেন বলেন, ‘আপানারা এখানে রাজনৈতিক আলাপ কইরেন না, আমাদের সমস্যা হয়।' তখনি আমরা আড্ডা থামিয়ে সেখান থেকে উঠে যাই।

কাফরুল নিবাসী তরুণ আরাফাত রহমান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের এলাকায় যারা কাজ করছে তারাই জিতে আসুক। উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকুক।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর