একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনের ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থী মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তার নির্বাচনী পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করছেন। যা আচরণ বিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ দাখিল করেছে একই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার কাছে ২০ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ জমা দেয়া হয়।
লিখিত অভিযোগে সৈয়দ দিদার বখত জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ উপলক্ষে সাতক্ষীরা-১ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তার নির্বাচনী পোস্টারে তার দল ওয়ার্কার্স পাটি প্রধান রাশেদ খান মেননের ছবি ব্যবহার না করে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করছেন। যা আচরণবিধির ৭ এর ২ উপবিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এই ছবি ব্যবহার করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তী ক্ষুণ্ন করা হয়েছে এং সাথে সাথে তার (প্রধানমন্ত্রী) সুনামকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার অপচেষ্টা বলে আমাদের বিশ্বাস।
আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করে ব্যক্তি সুবিধা অর্জনের এই অপচেষ্টা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে যথাযথা বিচার এবং তাকে মহান সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্যতা ঘোষণা পূর্বক নির্বাচন কমিমন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দলীয় প্রধান ছাড়া অন্যকারো ছবি নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টারে ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।
শরিক দলের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিলে প্রচার কাজে বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করতে পাড়ার সিদ্ধান্ত চেয়ে দলটি কমিশনকে চিঠি দেয়। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে নিবন্ধিত এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।