রাজশাহীতে সরব আ’লীগ, কোণঠাসা বিএনপি

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 17:25:36

রাজশাহীর ছয়টি আসনে প্রচারে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে নাদিম মোস্তফার প্রার্থিতা বাতিল ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু সাইদ চাঁদ বাদ পড়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তারা।

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহীতে বিরাজ করছে ভোট উৎসব। প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজারে চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। পোস্টার ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। যতো দিন ঘনিয়ে আসছে ততোই যেন কোনঠাসা হয়ে পড়ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিপরীত চিত্র আওয়ামী লীগে।

রাজশাহী-৫ আসনে আওয়ামী লীগ এবার নতুন প্রার্থী দিয়েছে। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন ডা. মনসুর রহমান। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন নাদিম মোস্তফা। কিন্তু আদালতে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিএনপিতে হতাশা দেখা দিয়েছে। নতুন হয়েও সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেছেন ডা. মনসুর রহমান।

রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ছিলেন আবু সাইদ চাঁদ। তিনিও বাদ পড়ায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছেন ঐ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বাগমারা উপজেলা নিয়ে রাজশাহী-৪ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে দুই বারের এমপি প্রকৌশলী এনামুল হক ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে সাবেক এমপি আবু হেনা। জঙ্গিবাদ ইস্যু ও ১৪ বছর পর এলাকায় আসার কারণে প্রচারণায় কর্মী সংকটে রয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী।

রাজশাহী-১ মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক।

রাজশাহী-২ (সদর) আসন সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত। রাজশাহীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই জোটের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। এরা হলেন মহাজোট থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও বিএনপির প্রার্থী সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।

আসনগুলো থেকে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে প্রতিদিনই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা পড়ছে। নানান কারণ দেখিয়ে তারা অভিযোগ দিচ্ছেন। শুধু রাজশাহী-২ ও ৩ আসন থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন প্রচার থেকে শুরু করে আজ (শুক্রবার) পর্যন্ত ১৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে।

এ থেকেই বোঝা যায় যতো দিন ঘনিয়ে আসছে ততোই যেনো প্রচারণায় কোণঠাসা হয়ে পড়ছে বিএনপি। আর এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘নানান প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে আমাদের প্রচার চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ নিয়ে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জানানো হচ্ছে।’

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা যতোদিন যাচ্ছে ততোই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। জনগণ তাদের প্রত্যাখান করছেন। উন্নয়নের সঙ্গেই জনগণ আছে। আগামীতে উন্নয়নের পক্ষেই তারা রায় দেবেন।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর