ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশের আকাঙ্ক্ষায় ভোটাররা

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-26 17:28:50

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনের শেষ মুহূর্তের নানা প্রস্তুতি চলছে।

অন্যদিকে, আগামী সরকার যাদের ভোটে নির্ধারণ হবে সেই ভোটাররাই এখন শঙ্কায় রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো? তারা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন তো? এসব নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভোটারদের মনে।

ঢাকা-৭ আসনের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ দেখে তারা কিছুটা শঙ্কিত আছেন। কেননা বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা সংঘাতের খবরে ভোটের পরিবেশ নিয়ে তারা বিচলিত হয়ে পড়েছেন। তাদের মনে আশঙ্কা জাগছে ভোটের এক দিন আগে বা ভোটের দিন তাদের এলাকায় যেন আবার নির্বাচনী সংঘাত না হয়। তারা চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা-৭ আসনের আজিমপুর, লালবাগ, ঢাকেশ্বরী মন্দির ও পোস্তগোলা এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

লালবাগ এলাকার ভোটার মো.আসলাম বার্তা২৪কে বলেন, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র এক দলের লোকজনদের মাঠে দেখছি। বাকিরা কোথায়, তারা মাঠে না থাকলেতো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সকল দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে, কিন্তু মাঠে শুধু একদল।

আজিমপুর এলাকার ভোটার কামরুজ্জামান বার্তা২৪কে বলেন, আমরা এক এলাকায় ব্যবসা করি। আমরা চাই ভোট শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক। কিন্তু এখনো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শুনেছি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে মাঠেই নামতে দিচ্ছে না। তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে ইলেকশনের দিন সংঘাত অবধারিত। আমরা এ অবস্থা চাই না আমাদের এলাকায়।

ভোটারদের এমন আশঙ্কার চিত্র ঢাকা-৭ আসনে সরেজমিনে দেখা গেছে। কেননা আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর কোনো ধরনের কার্যক্রম নেই মাঠে। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু নৌকা আর নৌকা।

ভোটাররা আরো বলেন, কোথাও কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেন না ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোস্তফা মহসীনের নেতাকর্মীরা। তাদের ঢাকা-৭ আসনের মধ্যে থাকা ১৩ ওয়ার্ডের মধ্যে কোনো ওয়ার্ডেই নির্বাচনী প্রচারণার ক্যাম্প দেখা যায়নি। এছাড়া প্রচারণার মাঠে তো তাদের দেখাই যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা-৭ আসনের ২৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতা আশফাক হোসেন বার্তা২৪কে বলেন, আমরা প্রচারণা চালাব কীভাবে। হাজী সেলিমের লোকজন ও পুলিশের অত্যাচারে এলাকায় থাকতেই পারছি না। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কাজ করতেই থাকবে। আর আমাদের যদি এ অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ ভোটাররা কি আদৌ ভোট দিতে পারবে।

তবে এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে পোস্তগোলায় অবস্থিত হাজী সেলিমের রাজনৈতিক কার্যালয়ের দপ্তর সচিব এস এম মিরানুর রহমান মিরান বার্তা২৪কে বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এমন একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন যে এই এলাকার স্থানীয়ই না। তাই স্থানীয় বিএনপি ও ভোটারদের তাকে নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। তাই কোনো প্রচারণাই নেই। ভোটারদের সব আকর্ষণ আমাদের প্রার্থী হাজী সেলিম ভাইকে নিয়ে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর