হবিগঞ্জে কোন মার্কায় কত ভোট?

বিবিধ, নির্বাচন

কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 21:57:39

হবিগঞ্জের ৪টি আসনেই আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। শুধু জয়ই না, বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের চার কান্ডারি। একদিকে যেমন বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সর্বনিম্ন ভোট পাওয়ার ইতিহাসও সৃষ্টি হলো হবিগঞ্জে।

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ৭২ হাজার ৯৯১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহ্ নেওয়াজ মিলাদ গাজী। তার প্রাপ্ত ভাট ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৮। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এম এস কিবরিয়ার পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া পেয়েছেন ৮৫ হাজার ১৯৭ ভোট।

এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল  প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৮ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবু হানিফা আহমেদ হোসেন হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৬১ ভোট, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ-এর প্রার্থী মই প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০৮ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফন্টের প্রার্থী জুবায়ের আহমেদ মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪০ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রার্থী মো. নুরুল হক গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়ে ১১০ ভোট। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৯ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ১৫৫ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ২৬৬ ভোট।

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে ১ লাখ ১১ হাজার ৭৫৬ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৮০। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭২৪ ভোট।

এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার আহমেদ সিংহ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৩ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবুল কামাল মসউদ হাসান হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১৮১ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রার্থী এডভোকেট দেবমোহন দেবনাথ গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী পরেশ চন্দ্র দাস আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৯ ভোট। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬ হাজার ৯৭৮ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৯ জন। ভোট বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৪৮৬টি।

হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৫ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি এডভোকেট মো. আবু জাহির। তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৩। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৭৮ ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী পীযূষ চক্রবর্তী কাস্তে প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩৫ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মহিব উদ্দিন আহমদ সোহেল হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩৪ ভোট।

তবে তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৩ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৯২৩ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ৭৭ ভোট।

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮২ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি এডভোকেট মাহবুব আলী। তার প্রাপ্ত ভোট ৩ লাখ ৯ হাজার ৯৫৩। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদির পেয়েছেন ৪৫ হাজার ১৫১ ভোট। এ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আনছাবুল হক গোলাপ ফুল নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৩১৯ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ সোলাইমান খান রাব্বিনী মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শেখ মো. সামছুল আলম হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৯০ ভোট।

আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৪৮ জন। ভোট প্রদান করেছেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৯ ভোটার এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৪১৮ ভোট।

এ সম্পর্কিত আরও খবর