প্রথমবারের মতো একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ছয়টি আসনে। দ্বৈব চয়নের ভিত্তিতে এ ছয়টি আসন নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসনগুলোর মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ ও দুইটিতে জাতীয় পার্টি জয়লাভ করেছে।
জানা গেছে, রংপুর -৩ আসনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জয় পেয়েছেন। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন এক লাখ ৪২ হাজার ৯২৬টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৪১ হাজার ৬৭১টি। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন দুই লাখ ৩১ হাজার ৫৪ জন।
ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদ জয় পেয়েছেন। লাঙল প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৫৫২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ধানের শীষ প্রতীকের সুব্রত চৌধুরী, তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৯০ ভোট। আসটিতে মোট ভোটার ছিলো দুই লাখ ৬৯ হাজার ৩১৫ জন। ভোট দিয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৮৮৯ জন।
চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী জয় পেয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ২৩ হাজার ৬১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৪২ ভোট। এ আসনের মোট ভোটার তিন লাখ ৯০ হাজার ৪৩১ জন। ভোট দিয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৬৩৬ জন।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি জয় পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৫৫ হাজার ৬১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল খালেক পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭১১ ভোট। এ আসনের মোট ভোটার তিন লাখ ৫৬ হাজার ২৪৬ জন। ভোট দিয়েছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন।
খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ সালাহউদ্দিন জয় পেয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ১০০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের প্রাথী পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৭৯ ভোট। এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৯৪ হাজার ১১৬ জন। ভোট দিয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ২১০ জন।
ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মো. সাদেক খান জয় পেয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক লাখ তিন হাজার ১৬৩টি। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের প্রাথী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৩২ ভোট। এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৭২ হাজার ৭৭৫ জন। ভোট দিয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার ৪৯৪ জন।