আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের জন্য ৩২টি আসন ছেড়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সঙ্গে বৈঠক শেষে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য জানান।
এসব আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ২৬টি এবং ১৪ দলের শরিকদের জন্য ৬টি আসন ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৫ ও কুষ্টিয়া-২ আসন বাকি রেখে বাকি ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। এবার ওই দুই আসন জোটের শরিক দলের প্রার্থী সেলিম ওসমান ও হাসানুল হক ইনুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদের, কুড়িগ্রাম-১ আসনে এ কে এম মুস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকার, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ আসনে মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি প্রার্থী হয়েছেন।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু, মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-১৮ শেরীফা কাদের, হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুল হামিদ, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সুলেমান আলম শেঠ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন।
১৪ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য বগুড়া-৫ আসন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ), রাজশাহী-২ আসন ফজলে হোসেন বাদশা (ওয়ার্কার্স পার্টি), কুষ্টিয়া-২ আসন হাসানুল হক ইনু (জাসদ), বরিশাল-২ আসন রাশেদ খান মেনন (ওয়ার্কার্স পার্টি), পিরোজপুর-২ আসন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (জাতীয় পার্টি - জেপি) এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসন মোশারফ হোসেনকে (জাসদ) ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।