চট্টগ্রামে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর

, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-12-20 21:57:55

চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম-১২ পটিয়ায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর গণসংযোগের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় গাড়ি বহরের কার-মাইক্রোসহ ছয়টি গাড়ির চাকা কেটে দেয়া হয়। এসময় প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তারা এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারী নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম-১২ আসনের গেল তিনবারের সংসদ সদস্য ও শেষবারে জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করা সামশুল হক চৌধুরী মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তবে এবার এ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল হক চৌধুরী শারুন জানান, বিকেল ৪টার দিকে সামশুল হক চৌধুরী শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজারে তাদের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর অতর্কিতে একটি মিছিল আসে। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল। তারা গণসংযোগের বহরে থাকা ৭-৮টি গাড়ি ভাঙচুর করে।

এছাড়া সামশুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত দুটি গাড়িও ভাঙচুর করে। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অধিকাংশ গাড়ির চাকা পাঙচার করে দেয়। হামলার সময় নেতাকর্মীরা সামশুল হক চৌধুরীকে বাজারে একটি দোকানের ভেতরে নিয়ে রক্ষা করেন। সেই দোকান লক্ষ্য করেও হামলাকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।

হামলায় আহত এক যুবক জানান, কাশেম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা ককটেল ফাটিয়ে প্রথমে ভীতির সঞ্চার করেছে। হামলার সময় মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নামে এবং নৌকা নৌকা বলে স্লোগান দেয়। এসময় তারা হুমকি দিয়েছে, পটিয়ায় নৌকা ছাড়া আর কেউ প্রচারণা করতে পারবে না।

এ বিষয়ে আসনটির নৌকার প্রার্থীর মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য জানা যায়নি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র যুগ্ম জেলা জজ মহিবউল্লাহ, পটিয়ার ইউএনও, অ্যাডিশনাল এসপিসহ আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রার্থী এখান থেকে নিরাপদে চলে গেছেন। আমরা সার্বিক বিষয় তদন্ত করে দেখছি। গত দুইদিনেও তিনি দুইটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন। আমরা সেগুলোর তদন্ত শেষ করেছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর