রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে ট্রাক মার্কার প্রার্থী জাকির হোসেন সরকারের সমর্থকদের ওপর নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার জায়গীরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ট্রাক মার্কার সমর্থকেরা জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের উপস্থতিতে ট্রাক ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সাইদুল ইসলাম (৪৫), শাহিন মিয়া (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), আব্দুল মালেক (৩৫) জমারেজ মিয়া (৪০), জাহান মাস্টার (৫০)। এদের মধ্যে কয়েকজনের নাম ও পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের জনসভায় আগমনকে কেন্দ্র করে ট্রাক মার্কার প্রার্থী জাকির হোসেন সরকারের সমর্থকেরা উপজেলা শঠিবাড়ী বন্দরে একত্রিত হয়। সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানায়। অনুষ্ঠান শেষে জায়গীর ও রাণীপুকুর এলাকার ট্রাক মার্কার সমর্থকরা অটোযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে নৌকার সমর্থকরা ট্রাক মার্কার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে ট্রাক মার্কার সমর্থকরা জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে এসে প্রতিবাদ ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা মহাসড়ক থেকে সরে যায়।
কিছুক্ষণ পর নৌকার সমর্থকেরা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রাক মার্কার সমর্থকদের ওপর ফের হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
ট্রাক মার্কার প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, আমার সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় নৌকার লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে এসে এর প্রতিবাদ করেছি।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী রাশেক রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।