মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকায় ভোট না দিলে হাত কেটে নেওয়াসহ ‘গুলি’ করার হুমকি দিয়েছেন সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মীরা প্রচারণা চালানোর সময় এই হুমকি দেন তিনি।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার সময় উপস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মী রাহুল খান ইমু জানান, আজ বিকাল ৪টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক, মিনহাজ, আমিনুর, শাহিনুর ও মানিকসহ বেশ কয়েকজন কর্মী ইরতা এলাকায় ছোট পোস্টার (হ্যান্ড বিল) বিতরণের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ট্রাক মার্কায় ভোট চাইছিলেন।
এসময় সেখানে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে উপস্থিত হন সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হাত কেটে নেওয়াসহ নানা হুমকি ধামকি দেন। একজন এই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আলী ইস্কান্দার উচ্চস্বরে বলছেন, ডা. জিলকদ নমিনেশন নিয়া আসছিলো। জিলকদ ভাইকে ভোট দেয় নাই। এবার আমার দেখার আছে। আমিতো ভেতরে থাকবো। যদি নৌকায় ভোট না দেয় হাত কাইটা (কেটে) ফালামু (ফেলবো)। আমি ইস্কান্দার। জিলকদের ভাই আমি। জিলকদকে দেয় নাই। এখানে ঘা। হাত কাইটা ফালামু। রেডি থাইকো। সাহস থাকে পাল্লা লইবা আমার লগে। কে আছে আমার এগিনেস্টে যাবে। লজ্জা করে না তোমাদের। দেখার আছে আমার। খোদার কসম দেখার আছে। এই বার। চৌদ্দ শিকে ঢুকাইয়া ছাইরা দিমু।
তাকে আরও বলতে শোনা যায়, সরকার আমার, পাওয়ার আমার, প্রশাসন আমার এমপি আমার। যাইও ভোট দিবার যাইও ট্রাক মার্কায়। ট্রাকের চাকার তলে (নিচে) ফালাই দিমু। ফাজলামো। হাড্ডি মাংস এক কইরা ফালামু। প্রত্যেকটাকে গুলি করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা টাকা ও চকলেট বিতরণ করছে খবর শুনে আমি সেখানে যাই। আমার ভাই ডা. জিলকদ একসময় নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু তারা ভোট দেয়নি। এ কারণে মনে অনেক কষ্ট। উত্তেজিত হয়ে তাদের অনেক কথা বলেছি। আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই।