বিএনপি-জামায়াতের কোনো কর্মীকে নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে বক্তব্য রাজনৈতিক বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার।
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আচরণবিধি লঙ্ঘনের শুনানি শেষে বাহাউদ্দিন বাহার একথা জানান।
দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত ভোটবিরোধী নাশকতা করছে। এটা আমাকে অ্যাফেক্ট করেছে। এজন্য বিএনপি-জামায়াতের হাত পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছি বলে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে স্বীকার করেছেন কুমিল্লা-৬ আসনের নৌকার প্রার্থী বাহার।
কুমিল্লা-৬ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আকম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াতকে বলা হয়েছিল। আসন্ন নির্বাচনে নাশকতার চেষ্টা চালানো হলে বিএনপি-জামায়াতের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে, এই উদ্দ্যেশ্যে আমি কথাটা বলেছি।
তিনি বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গের যে দুটো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তার মধ্যে একটি অনভিপ্রেত। অন্য অভিযোগের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি আমার প্রার্থিতা বাতিল হবে না।
বাহার বলেন, ৭১ টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গালিগালাজ করেছি, এমন অভিযোগ সত্য নয়। কুমিল্লাতে আমি দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করছি। এই সময়ে এসে আমাকে সাংবাদিককে গালিগালাজ করতে হবে, এতো নিচে নেমে যাইনি।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের হাত পা ভেঙে দেওয়ার মানে এই না যে কুমিল্লার পুলিশ ব্যর্থ। পুলিশের তুলনায় জনসংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি।আমরা সর্বোচ্চ তাদের সহযোগিতা করতে পারি। যারা নির্বাচনে আসবেই না, তাদের ক্ষেত্রে আবার আচরণবিধি কি? তাই ওই কথাটা আমি বলেছিলাম। কিন্তু যেহেতু ইসি এতে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে, তাহলে আমি এ ধরনের বক্তব্য আর দেব না।
এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাহাউদ্দিন বাহারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে, বাহারকে দেওয়া ইসির চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী তারা একাধিকবার নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম করেছেন ও আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। এজন্য তাদের নির্বাচনী তদন্ত কমিটি কারণ দর্শাতে একাধিকবার নোটিশও দিয়েছিলেন।
চিঠিতে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, সে ব্যাখ্যা দিতে বাহারকে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় ইসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাহারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। অনুসন্ধান কমিটি তার সুপারিশে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) ও নির্বাচনী আচরণবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।