চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর–পতেঙ্গা) আসনের তিনটি ভোটকেন্দ্র দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে বন্দর থানাধীন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠে।
এসময় ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের সমর্থকরা সেসব কেন্দ্রে গিয়ে জড়ো হলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ উঠেছে, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুন্সীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনটি ভোট কেন্দ্রে রাত ২টার দিকে ঢুকে পড়েন এম এ লতিফের সমর্থক আজিম আর বাবর। স্থানীয়রা টের পেয়ে জিয়াউল হক সুমনের লোকজনকে খবর দিলে সুমনের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে খবর জানায়।
জিয়াউল হক সুমনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক এনাম মুনির বলেন, আজিম আর বাবর কেন্দ্রে ঢুকে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে আমাদের লোকজন ও পুলিশ গিয়ে তাদের তাড়ান।
অভিযোগের বিষয়ে এম এ লতিফের মিডিয়া সেলের পরিচালক জাহেদুল ইসলাম দুর্লভ বলেন, কেন্দ্রে তো ব্যালট বক্স পৌঁছাবে সকালে। তারা যে বলল, আমাদের লোক কেন্দ্র দখল করতে গেছে, তাহলে তারা দখল করে কী করবে? আচ্ছা আমাদের লোক কেন্দ্রে গেছে। তাহলে রাতে তারা কী করতে গেছিল?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, কেন্দ্রে বহিরাগত লোক ঢুকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। কেন্দ্রের বাইরে লোকজনের ভিড় দেখে পুলিশ সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। জিয়াউল হক সুমনের সমর্থকরা অভিযোগ করেছে, এমএ লতিফের লোকজন কেন্দ্রে ঢুকেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
এম এ লতিফ ২০০৮ সাল থেকে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের দুই সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু।